দুই প্রধানের বিদেশি বাছাই চলছেই |
সমর্থকরা চাইলে খেলব পরের বারও: ব্যারেটো |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ব্রাজিল থেকে সঙ্গে নিয়ে আসা হাদসন লিমা দি’সিলভার পারফরম্যান্স নিয়ে ‘চিন্তায়’ আছেন হোসে ব্যারেটো।
বুধবার সকালে অনুশীলনের পর মোহনবাগান অধিনায়ক বলে দিলেন, “বহু বার ক্লাবকর্তারা বলা সত্ত্বেও কোনও দিন ফুটবলার আনিনি। কিন্তু এ বার সবাই চাইছিল, এমন একজন মিডিও যিনি মাঠ এবং মাঠের বাইরে ভাল হবেন। মার্কোস এখানে এসে মাঝমাঠে খেলে সফল হয়েছিল। তাই ক্লাব চাইছিল, আমি ব্রাজিল থেকে একজন ভাল অ্যাটাকিং মিডিও আনি। গতবার আমাদের খুব খারাপ সময় গিয়েছে। এ বার বেশ কিছু ট্রফি ক্লাবে আনতেই হবে। তবে ওকে আনার পর খুব টেনশনে আছি। নিজে খেলা এক জিনিস। কিন্তু নিয়ে আসা ফুটবলার কী করবে সেটা বলা কঠিন। তবে সব যদি ঠিকঠাক চলে হাদসন কিন্তু তারকা হয়ে যাবে। ওর পায়ে দুর্দান্ত ড্রিবল আছে। ভাল পাসারও।”
দিন তিনেক অনুশীলনে দেখেই অবশ্য হাদসনকে পছন্দ হয়ে গেছে কোচ স্টিভ ডার্বির। ঠিক করে ফেলেছেন, মেডিক্যাল পরীক্ষা করে সই করানোর জন্য কর্তাদের বলবেন। বলেও দিলেন সে কথা। বুধবার সকালেও ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যে চোখ টানলেন ব্যারেটোর আনা ফুটবলারটি। হাদসনের এজেন্ট ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া আর এক ব্রাজিলিয়ান গিলমার দ্য সিলভা। গোলের সামনে বেশ ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছে তাঁকে। ব্যারেটো বললেন, “গিলমার জানে কলকাতায় কী ধরনের পাঠালে সে সফল হবে। আমি, গিলমার মিলে একে বেছেছি।” |
|
অন্য ভূমিকায়। মোহনবাগান মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে ব্যারেটো। বুধবার। ছবি: উৎপল সরকার। |
হাদসনের ‘সাফল্য’ নিয়ে টেনশনে থাকলেও নিজেকে নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন সবুজ তোতা। বললেন, “এ বছর নিজের সেরা খেলাটা খেলার জন্য তৈরি হচ্ছি আমি।” অনেকেই ধরে নিয়েছেন, এই মরসুমটাই শেষ বছর ব্যারেটোর। তিনি অবশ্য তা বলছেন না। “আমি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ। যদি ক্লাব এবং সমর্থকরা চায় তা হলে পরের মরসুমেও খেলতে পারি।” ব্যারেটোদের কোচ স্টিভ ডার্বি অবশ্য এখনও পুরো টিমের ফুটবলারদের চিনে উঠতে পারেননি। রাত জেগে মোহনবাগানের বিভিন্ন খেলার সিডি দেখছেন। ইস্টবেঙ্গলেরও। এ দিকে মোহনবাগান এ বারও ডুরান্ড কাপে খেলতে নারাজ। যতক্ষণ না ময়দানের পুরনো নিয়ম ভেঙে অক্টোবরের শুরুতে ময়দান খোলা রাখে ফোর্ট উইলিয়াম। |
|