দুই প্রধানের বিদেশি বাছাই চলছেই |
গাও-কে নিয়ে মর্গ্যানের সঙ্গে টানাটানি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতা ময়দানের তৃতীয় শক্তি প্রয়াগ ইউনাইটেডকে সরিয়ে, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের মাঠ দখল করলেও সেখানে প্র্যাক্টিস করতে পারল না ইস্টবেঙ্গল।
আজ সকাল থেকে তারা ফিরে আসছে সল্টলেক সাই কমপ্লেক্সে। ট্রেভর মর্গ্যানের সেন্ট্রাল পার্ক মাঠ নিয়ে আপত্তি দুটো কারণে। মাঠ ভাল পাওয়া যাচ্ছে না। ওই সময় প্র্যাক্টিস করছেন বিধাননগর অ্যাকাডেমির ছেলেরা, শ্যামল ঘোষের কোচিংয়ে। আর মাঠের ধারে কোনও জিমন্যাসিয়াম নেই। সাইতে করলে সেখানে ভাল জিমের সুবিধে পাওয়া যাবে।
মর্গ্যানের কোচিংয়ে গেলে সবার আগে নজর টানবেন অ্যালভিটো ডি’কুনহা। ফুটবলারের পোশাকেই থাকছেন তিনি। কিন্তু পায়ের যা অবস্থা, তাতে মাসখানেকের আগে নামা সম্ভব নয়। দৌড়তেই পারছেন না। কাজেই গোলকিপার কোচ অতনু ভট্টাচার্য, সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরীর মতোই কোচিং স্টাফের কাজ করছেন অ্যালভিটো। ফুটবলার হিসেবে আদৌ আর নামবেন কি না কেউ জানেন না। |
|
অ্যালভিটো ডি’কুনহা: আপাতত তিনি সহকারি কোচ। বুধবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস। |
ওপারা, টোলগে, পেনের পরে চতুর্থ বিদেশি কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা তীব্র ইস্টবেঙ্গলে। বেশ টানাপোড়েন শুরু হয়েছে দুই ফুটবলারকে নিয়ে। মর্গ্যান প্রাথমিক ভাবে স্কটল্যান্ডের অ্যালান গাওকেই চাইছেন। গ্লাসগো রেঞ্জার্সে খেলা গাওয়ের অতীত এত ভাল যে মর্গ্যান কর্তাদের বলেছেন, “ওকে ট্রায়াল ছাড়াই নেওয়া যেতে পারে। ওই হতে পারে প্রথম বিদেশি।” কর্তারা সবাই তা মানতে পারেননি।
গাও এ বার রেঞ্জার্সেই ট্রেনিং করেছেন। কলকাতায় ৩ দিন থেকে ফিরে গেছেন গাও। ক্লাবকর্তারা চাইলে তিনি আবার ফিরবেন। তবে বড় কর্তারা গাওয়ের আগে কোস্টা রিকার তারকা কার্লোসকে দেখতে চান। তাই ব্যাপারটা নিয়ে জট। গ্লাসগোতে প্রথম টিমে সুযোগ না পেয়ে গাও প্রথমে লোনে যান ব্ল্যাকপুলে। তার পরে নরউইচে। নটস কাউন্টিতে। ২৮ বছরের গাও খেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ও স্ট্রাইকার পজিশনে। এ বার জানুয়ারিতে এফ এ কাপে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে খেলেন নটস কাউন্টির হয়ে। খেলা ১-১ হয়। গাওয়ের একটি ফ্রি কিক অল্পের জন্য বাইরে যায়। ইংল্যান্ডের কাগজে ইতিমধ্যেই খবর বেরিয়েছে, গাও এক বছরের চুক্তি করছেন ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। গাওকে চাইছেন সেখানকার এক নামী ক্লাব আবেরদিনের কোচ ক্রেগ ব্রাউন। |
|