|
|
|
|
বিধ্বস্ত দলকে টানতে পারে লক্ষ্মণরাই |
রবি শাস্ত্রী |
এই সিরিজটা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিংকে অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছে। উল্টো দিকে চোট-আঘাত আর খারাপ ফর্ম মিলিয়ে ভারতীয় ব্যাটিং নাজেহাল। ব্যাটিং ফর্মের প্রভাব দুটো দলের বোলিংয়েও দেখা যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের বোলিংকে সব সময়ই তাজা দেখাচ্ছে। কারণ তিনটে সেশনের বেশি কখনওই ওদের মাঠে কাটাতে হচ্ছে না। ইংরেজ ব্যাটসম্যানরাও বোলারদের বিশ্রামের যথেষ্ট সুযোগ করে দিচ্ছে। ভারতীয়রা কিন্তু এক-এক সময় ন’ঘণ্টা ফিল্ডিং করেছে। আর ব্যাটিং দুর্যোগ মানে একটা ইনিংসে ফিল্ডিংয়ের ক্লান্তি মেটাতে না মেটাতেই আবার বোলিং ক্রিজে ফিরে আসতে হচ্ছে।
অসম লড়াই ছাড়া কী?
একটা দল যখন চাপের পরিস্থিতি থেকে বার বার বেরিয়ে আসতে শুরু করে, তখন প্রতিপক্ষ দলের সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত। ইংল্যান্ড তো ১২৪-৮ হয়ে গিয়েও আরও একশোটা রান তুলে দিচ্ছে। জবাবে হয়তো এক-এক সময় মনে হয়েছে যে ভারত বড় লিড-এর দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু সেই সময়গুলোতে ইংল্যান্ড বাড়তি এনার্জি আর আগ্রাসন দেখিয়ে ঠিক ভারতকে আটকে দিয়েছে। স্ট্রস, কুক, ট্রট এবং পিটারসেনরা যখন নিজেদের ছন্দে থাকে, তখন ওদের ভয় পেতেই হবে।
ভারতের সামনে সেরা সুযোগ হল, ইংল্যান্ডের উপর বড় রানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া। যে চাপটা স্ট্রসরা ভারতের উপর তৈরি করে যাচ্ছে, সেটাই ওদের ফিরিয়ে দেওয়া। দ্বিতীয় টেস্টের আগে এই কথাটাই বলেছিলাম। আশা করি বাকি দুটো টেস্টে সহবাগ আর গম্ভীর এই কাজটা করতে পারবে। দ্রাবিড়, লক্ষ্মণ, সচিনরাও ছন্দ পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকিরা? ছ’নম্বরে রায়না, আর সাতে ধোনি নামতে পারে। দ্বিতীয় নতুন বলের মোকাবিলা করার একটা রাস্তা ভারতকে বার করতেই হবে। ওটাই এই সিরিজে সাফল্যের চাবিকাঠি।
ভারতীয় ব্যাটিংয়ের প্রহরী লক্ষ্মণকে এখন বাড়ির পিছনের দরজাটা সামলানোর দায়িত্ব নিতে হবে। ওই দিকের পাঁচিল ভেঙেই তো শত্রু ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ছে। সিরিজের বাকি টেস্টের ভাগ্য যদি ভারতীয় ব্যাটিং এবং দ্বিতীয় নতুন বল মোকাবিলা করার উপর নির্ভর করে থাকে, তা হলে উপরের দিকে দ্রাবিড় আর সচিন আর নীচের দিকে লক্ষ্মণকেই ভারতীয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যে জায়গাটা ধোনিরা হারিয়েছে, সেটা খুব আস্তে আস্তে ফিরে পেতে হবে। আর এই কাজটা একমাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাই করতে পারবে। |
|
|
|
|
|