|
|
|
|
নজরদারি নামেই, বন্ধ হয়নি নিষিদ্ধ পলিব্যাগ ব্যবহার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কেউ মানছেন, আবার কেউ মানছেন না। পুরসভার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে অবাধেই পলিব্যাগ ব্যবহার করছেন। মেদিনীপুরকে প্লাস্টিক-মুক্ত শহর করতে ১ অগস্ট থেকে ৪০ মাইক্রনের নীচে পলিব্যাগ তৈরি, মজুত, বিক্রয় ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুরসভা। দূষণ রুখতে এই সিদ্ধান্ত। তবে নজরদারির অভাবে সেই নির্দেশ খুব একটা মানা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ।
পুরপ্রধান পারিষদ (জঞ্জাল) সুনন্দা খানের অবশ্য বক্তব্য, “১ অগস্ট থেকেই শহরে নজরদারি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পলিব্যাগ বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শহরবাসীরও সহযোগিতা প্রয়োজন।” পুরসভা সূত্রের খবর, মিয়াঁবাজার, মির্জাবাজার, এলআইসি মোড়, ছোটবাজার-সহ শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়িক এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন পুর-কর্মীরা। এ জন্য নজরদারি-দলও গড়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কারও কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়নি। শুধুমাত্র সতর্ক করা হয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, “শুরুতে নিষিদ্ধ পলিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, তাঁরা নির্দেশের কথা জানেনই না। তাই প্রথম ক’দিন সতর্ক করা হল। কিন্তু এ বার জরিমানা আদায়ও শুরু হবে।” পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহেই শহরের রাজাবাজার, স্টেশন রোড-সহ অন্য বড় বড় বাজারগুলোতে হানা দেবে নজরদারি-দল। সঙ্গে থাকবেন পুরসভার আধিকারিকরাও। নিষিদ্ধ পলিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে দেখলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিংবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে। |
|
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
আগেও শহরকে প্লাস্টিক-মুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিল পুরসভা। নজরদারিও শুরু হয়। তবে ক’দিন যেতে না-যেতেই সব ভেস্তে যায়। বন্ধ হয় নজরদারি। এ বার নতুন করে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ৪০ মাইক্রনের নীচে পলিব্যাগ তৈরি, মজুত, বিক্রয় ও ব্যবহারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ১ অগস্ট থেকে শহর জুড়েই এই নির্দেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে। শহরের ছোট-ছোট দোকানগুলোতে এতদিন ৪০ মাইক্রনের নীচের পলিব্যাগই মূলত ব্যবহার হত। পুরসভার নতুন নির্দেশের জেরে একাংশ ব্যবসায়ী কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন। শিক্ষা-সামগ্রীর দোকান রয়েছে অলোক ঘোষের। তাঁর কথায়, “প্রতিটি সরঞ্জামেই লাভ কমেছে। এতদিন ছোট পলিব্যাগে করেই খাতা, পেনসিল, পেন দেওয়া হত। কিন্তু এ বার তা হবে না। বড় পলিব্যাগের দামও বেশি।”
পুরসভার নির্দেশে মিশ্র প্রভাব পড়েছে মেদিনীপুরে। শহরের অধিকাংশ মিষ্টি ও মাছের দোকানে নিষিদ্ধ পলিব্যাগই ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ। কেউ কেউ আবার বড়-ব্যাগের মধ্যে নিষিদ্ধ পলিব্যাগ লুকিয়ে রাখছেন। পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক সুশান্ত মহাপাত্র অবশ্য বলেন, “ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন বাজারে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু পলিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর অধিকাংশই ২০ মাইক্রনের। তল্লাশি আরও জোরদার হবে।” বুধবার কোতোয়ালি বাজার, বক্সীবাজারে তল্লাশি চলে। উদ্ধার হয় বেশ কিছু ২০ মাইক্রনের পলিব্যাগ। পুর-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শহরের ৫৬টি এলাকায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ পলিব্যাগ নষ্ট করে দেওয়ার কথা। এ বার শুধু বাজেয়াপ্তই নয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জরিমানাও আদায় করা হবে। |
|
|
|
|
|