|
|
|
|
ইচ্ছে করে তাড়াতাড়ি সিঙ্গুর আইন, অভিযোগ টাটাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই তাড়াহুড়ো করে সিঙ্গুর আইন প্রণয়ন করে জমি অধিগ্রহণ করেছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করলেন
টাটা মোটরসের আইনজীবী
সমরাদিত্য পাল।
মঙ্গলবারই, হাইকোর্টে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছিলেন সমরাদিত্যবাবু। বুধবার, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে সিঙ্গুর মামলার শুনানির সময় তিনি বলেন, গত ২১ জুন সূর্যাস্তের পর যে ভাবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ করে নেওয়া হয়, তাতে রাজ্য সরকার ক্ষমতার অপব্যবহারই করেছে। কোনও উদ্দেশ্য থেকেই রাজ্য সরকার সাত তাড়াতাড়ি সিঙ্গুর আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সমরাদিত্যবাবু এ দিন মূলত দু’টি বিষয় বিচারপতির নজরে আনার চেষ্টা করেন।
প্রথমত, ২১ জুন সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্গুর আইন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার দু’ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ রাত্রি সাড়ে ৮টার সময়, বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের কারখানার গেটে জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, অধিগ্রহণের চিঠিটি টাটা মোটরসের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে লেখা হলেও, তার ঠিকানা ছিল সংস্থার মুম্বই অফিসের। যা ২৮ জুন টাটা মোটরসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্পিড পোস্টের মাধ্যমে হাতে পান। আজকের দিনে ই-মেল, ফ্যাক্সের মতো আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে স্পিড পোস্টে কেন চিঠিটি পাঠানো হল, তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সমরাদিত্যবাবু। তাঁর যুক্তি, টাটা মোটরসকে কোনও রকম সুযোগ না দেওয়ার জন্যই রাজ্য সরকার মাত্রাতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করেছে। যাতে কোনও রকম আইনি ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তার জন্য রাজ্য সরকার সূর্যাস্তের পরের সময়কেই যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য বেছে নেয়। |
|
|
|
|
|