|
|
|
|
বাসের চালক-খালাসিকে হেনস্থা, ধৃত বাবা-ছেলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডানকুনি |
ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের সামনে দু’দফায় একটি স্কুলবাসের চালক ও খালাসিকে হেনস্থা করার অভিযোগে এক ব্যক্তি ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটে ডানকুনি হাউজিং এলাকায়। ধৃত অমূল্যরতন দাস এবং তাঁর ছেলে ওই এলাকারই বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে ওই অমূল্যরতনবাবুর স্ত্রী গীতাদেবীকে স্কুলবাসটি ধাক্কা মারে। গীতাদেবীর মাথা ফেটে যায়। বাস-মালিক তথা চালক দেবাশিস সাঁধুখার কাছে অমূল্যরতনবাবু স্ত্রীর চিকিৎসা-খরচের দাবি করেন। সেই সময় গীতাদেবীরা দুর্ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জানাননি। বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো ডানকুনি হাউজিংয়ে গিয়ে স্কুলবাসটি সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের তোলে। অভিযোগ, তখনই অমূল্যরতনবাবু এবং তাঁর ছেলে বাসের চাবি কেড়ে নিয়ে দেবাশিসবাবু ও খালাসিকে ধাক্কাধাক্কি এবং মারধর করেন। আতঙ্কিত ছাত্রছাত্রীদের কান্নাকাটি দেখে অভিভাবকেরা প্রতিবাদ করেন। তখন অভিভাবকদের গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু সমবেত প্রতিবাদের মুখে পড়ে বাসটিকে অমূল্যরতনবাবুরা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে নামিয়ে বাস-মালিক বিষয়টি পুলিশকে জানান। ডায়েরি করা হয় থানায়। থানা থেকে অমূল্যরতনবাবু এবং তাঁর ছেলেকে ডেকে পাঠানো হয়। স্কুল শেষের পর যথারীতি বাসটি হাউজিংয়ে ছাত্রছাত্রীদের পৌঁছে দিতে যায়। কেন পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে ফের অমূল্যরতনবাবুরা বাসটিকে ছাত্রছাত্রী সমেত আটক করেন বলে অভিযোগ। আবারও ওই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকেরা। পুলিশকে ফের বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ছাত্রছাত্রী সমেত বাস আটকে অত্যন্ত অন্যায় করা হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
জলে ডুবে বৃদ্ধার মৃত্যু। জলে ডুবে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরামবাগের বলুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা অলকা বাগ (৭০) নামে ওই বৃদ্ধা গ্রামেরই একটি পুকুরে নেমে তলিয়ে যান। পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। |
|
|
|
|
|