|
|
|
|
মামলা তুলতে হুমকির নালিশ |
প্রধান শিক্ষককে মার, অভিভাবক গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
খানাকুলের রায়বার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ ভট্টাচার্যকে মারধরের অভিযোগে অভিভাবক প্রভাত পালকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল পুলিশ। তিনি এলাকায় তৃণমূূল সমর্থক হিসাবে পরিচিত। এ দিকে, আর এক অভিযুক্তের নাম মামলা থেকে তুলে নেওয়ার জন্য প্রদীপবাবুকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে নতুন করে অভিযোগ উঠল।
সোমবার সকালে স্কুলে ঢোকার মুখে প্রহৃত হন প্রদীপবাবু। স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী প্রভাতবাবুর মেয়ে একটি মেধা অন্বেষণ পরীক্ষায় অ্যাডমিট কার্ড পায়নি। পরে প্রভাতবাবু জানতে পারেন প্রধান শিক্ষক আবেদন আদৌ পাঠাননি। ওই দিন স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক, সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া লুৎফর কাদের, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আব্দুল কাদের এবং প্রভাতবাবু প্রদীপবাবুকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেন বলে অভিযোগ। প্রদীপবাবু এখনও আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার প্রদীপবাবু লিখিত ভাবে হাসপাতালের সুপার জনার্দন সেনকে জানিয়েছেন, আব্দুল কাদেরের নাম এফআইআর থেকে তুলে নেওয়ার জন্য হাসপাতালে ঢুকে তাঁকে চাপ দেয় তাঁর ছেলে শেখ নইমুল হক এবং তৃণমূল কর্মী শেখ মোজাম্মেল হোসেন। জোর করে তাঁরা কিছু কাগজপত্র এবং চেকে সই করানোরও চেষ্টা করে। স্ত্রীর সঙ্গেও তাঁরা খারাপ ব্যবহার করে। একই অভিযোগ পুলিশকেও জানানো হয়েছে।
সুপার বলেন, “বিষয়টি পুলিশকে বলা হয়েছে। রোগীর আত্মীয় পরিচয়ে কেউ ঢুকে হুমকি দিয়েছে কিনা, পুলিশ দেখবে।” পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। শেখ নইমুল হক বলেন, “হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। আমি প্রধান শিক্ষককে দেখতে গিয়েছিলাম। প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হোক, আমরাও চাই। কিন্তু নির্দোষ কাউকে ফাঁসানো ঠিক নয়। প্রধান শিক্ষক এবং স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদকের মধ্যে দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে স্কুলের পঠনপাঠন বিঘ্নিত হচ্ছে।”
সমস্ত ঘটনাটিতে তৃণমূলের একাংশ ক্ষিপ্ত। দলের প্রাক্তন অঞ্চল নেতা লাল্টু মল্লিক বলেন, “শিক্ষার জগতে গুণ্ডামি করছে আমাদের দলের একাংশ। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে সমস্ত বিষয়টিকে জানিয়েছি। আগামী দিনে যাতে এ রকম ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে আমরা সজাগ থাকছি। দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।” |
|
|
|
|
|