স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুশান্তবাবু জানান, ফোন আসার সময়ে তিনি বাড়ি ছিলেন না। ছেলেকে ‘অপহরণ’ করা হয়েছে শুনে তিনি প্রথমে কৌস্তভের বাড়ি গিয়ে কিশোরবাবুকে বিষয়টি জানান। সুশান্তবাবু বলেন, “কিশোরবাবু প্রথমে বলেন, তিনি তাঁর ভাগ্নী অর্পিতার জামশেদপুরের ঠিকানা জানেন না। তাতে সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসা করি, কৌস্তভ আমার ছেলেকে নিয়ে আদৌ জামশেদপুরে গিয়েছে কি না। তার উত্তর তিনি দেননি।” পুলিশ জানায়, অর্পিতা দাবি করেছেন দু’জনের কেউই তাঁর কাছে যায়নি। পাঁচলা থানা সূত্রে খবর, এ দিন বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ সুশান্তবাবু এসে জানান, তাঁর ছেলেকে ‘অপহরণ’ করা হয়েছে। যেহেতু তাঁর দাবি সৌরভ কান্দুয়া হয়ে জামশেদপুর গিয়েছে, তাই সাঁকরাইল থানাতেও তাঁকে অভিযোগ জানাতে বলা হয়। সাঁকরাইল থানা সূত্রে খবর, সুশান্তবাবু সেখানেও বিস্তারিত জানিয়েছেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, অপহরণের তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই ঘটনা আদৌ অপহরণ, নাকি অপহরণের গল্প ফেঁদে দুই স্কুলছাত্র অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা হাতানোর ফন্দি এঁটেছে, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। |