|
|
|
|
মরান্ডিকে ঘিরেই পরিবর্তনের হাওয়া |
ঋজু বসু • রাঁচি |
দুর্নীতি ও অকর্মণ্যতায় জেরবার ঝাড়খণ্ডে পরিবর্তনের কাণ্ডারি হতে চলেছেন সেই বাবুলাল মরান্ডি। রাজ্য-রাজনীতির সাম্প্রতিক ঘটনাক্রমের ভিত্তিতে খানিকটা হলেও তেমন আভাসই মিলছে। জামশেদপুরে উপ-নির্বাচনের শক্ত ঘাঁটিতে বিজেপি-কে হারানোর পরে গোটা রাজ্যেই ‘বাবুলাল-হাওয়া’-র আভাস পাচ্ছেন রাজ্য-রাজনীতির কুশীলবরা। আর বিজেপি-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) জোট সরকারের অভ্যন্তরীণ ফাটলের জেরে এই দু’টি দল থেকেই নেতা-কর্মীরা বাবুলালের দল ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চায় (জেভিএম) যোগ দিচ্ছেন। জেভিএম-এর প্রায় সব সভাতেই এখন মরান্ডির হাত ধরে ‘জোরালো পরিবর্তন আসন্ন’ বলে ডাক উঠছে।
ঝাড়খণ্ডের পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা সীমাবর্তী পূর্ব সিংভূমের বহরাগোড়ার প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ ষড়ঙ্গি জেভিএমে যোগ দিয়েছেন। এই ঘটনায় বাবুলালের ‘শক্তিবৃদ্ধি’ হল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। এর আগে রাজ্য বিজেপি-র তৎকালীন মুখপাত্র সঞ্জয় শেঠ স্বয়ং বেআইনি দখলদার উচ্ছেদের মতো বিষয়ে দলের সঙ্গে মতপার্থক্যে জেভিএমে গিয়েছিলেন। দুমকা-সাহেবগঞ্জের মত প্রত্যন্ত এলাকাতেও বিজেপি-র বহু নেতা-কর্মীই দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভে মরান্ডিকে বিকল্প বলে মনে করছেন। জেভিএম নেতৃত্বের দাবি, ঝাড়খণ্ড মু্ক্তি মোর্চা বা জেএমএম থেকেও অনেকে আসছেন। চাইবাসার চক্রধরপুর ও মনোহরপুরে জেএমএমের দুই বিজিত প্রার্থী, স্বামী-স্ত্রী, সুখরাম ওরাঁও এবং নমি ওরাঁও-ও এ বার জেভিএমে আসতে চলেছেন। দিল্লিতে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন ছেড়ে বহরাগোড়ায় এসেছিলেন বাবুলাল। জামশেদপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ অজয় কুমারও ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। মরান্ডি প্রাক্তন মন্ত্রী ষড়ঙ্গির গলায় উত্তরীয় জড়িয়ে তাঁকে বরণ করেন। অজয় কুমার বলেন, “বাবুলালজীকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী করার পথে এক পা এগোলাম।” ষড়ঙ্গির দাবি, তাঁর অনুগামী কয়েক হাজার সমর্থকও বিজেপি ছেড়ে জেভিএমে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য এই দলবদলকে প্রকাশ্যে আমল দিতে নারাজ। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামীর বক্তব্য, “জামশেদপুরের ভোটে টিকিট না পেয়ে তখনই বহরাগোড়ায় দলের পিছনে ছুরি মেরেছিলেন ষড়ঙ্গি। তাঁর দলবদল সময়ের অপেক্ষা ছিল। এতে বিজেপি-র কিছু ক্ষতি হবে না।” |
|
|
|
|
|