|
|
|
|
ভোটাভুটিতে জিতে মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
উত্তরসূরি বাছাইয়েও নিজের দাপট ধরে রাখলেন কর্নাটকের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। দলীয় ভোটাভুটিতে প্রকাশ, ইয়েদুরাপ্পার পছন্দের ব্যক্তি সদানন্দ গৌড়াই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন।
দিল্লি থেকে উড়ে যাওয়া অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিংহের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা সর্বসম্মতিতেই কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করতে চাইছিলেন। কিন্তু এক দিকে ইয়েদুরাপ্পার পছন্দের সদানন্দ গৌড়া এবং অন্য দিকে অনন্ত কুমার-ঈশ্বরাপ্পার মতো বিরোধী গোষ্ঠীর পছন্দ জগদীশ শেট্টারের সঙ্গে প্রকাশ্য সংঘাত বাধে। উভয় গোষ্ঠীই নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি জানায়। শেষ পর্যন্ত ১২১ জন বিধায়কের মধ্যে ১১৮ জন বিধায়কের মধ্যে গোপন ভোট করে মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের গণতান্ত্রিক পথকেই বেছে নিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে জিতলেন সদানন্দ গৌড়া। কিন্তু এই ভোটাভুটিতে কর্নাটকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই ফের প্রকাশ্যে এল। কংগ্রেসের বক্তব্য, “বিজেপি নেতৃত্ব কর্নাটকে ইয়েদুরাপ্পার কাছে আত্মসমর্পণ করে ফেলেছেন। সে কারণে ইয়েদুরাপ্পার হাতের পুতুল সদানন্দ গৌড়াকে মুখ্যমন্ত্রী করা হল।”
এখন মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসে সদানন্দকে একসঙ্গে অনেকগুলি চ্যালেঞ্জেরই মোকাবিলা করতে হবে। নতুন সরকার যাতে কোনও ভাবেই ফের বিতর্কের মুখে না পড়ে, তার জন্য রেড্ডি ভাইদেরও নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিতে চায় ইয়েদুরাপ্পা শিবির। ইয়েদুরাপ্পা ঘনিষ্ঠা নেতা ধনঞ্জয় কুমার আজ জানান, লোকায়ুক্তের রিপোর্টে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের কাউকেই মন্ত্রিসভায় রাখা হবে না। ইয়েদুরাপ্পা গোষ্ঠীর এই মনোভাব আঁচ পেয়ে আজ জগদীশ শেট্টারের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন প্রভাবশালী রেড্ডি ভাইয়েরা। সদানন্দের বিরোধী গোষ্ঠী এখনই মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। গত কাল ইয়েদুরাপ্পা নিজে অবশ্য ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে ক্ষমতায় ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন। সেই অর্থে আজ তাঁর পছন্দের ব্যক্তিকে উত্তরসূরি করতে পেরেও তিনি খুশি। কিন্তু আজ একটি ধাক্কারও সম্মুখীন হন তিনি। যখন রাজ্যপাল হংসরাজ ভরদ্বাজ দুর্নীতি-বিরোধী আইনের আওতায় বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন লোকায়ুক্ত পুলিশকে। |
|
|
|
|
|