|
|
|
|
বিহারে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিরোধ গড়াল দিল্লি পর্যন্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না বিহারের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের লড়াই। শেষ পর্যন্ত কাল রাতে তা গিয়ে পৌঁছল দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছেও। এমনকী, রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে সরকার কোর্টে যেতেও পিছপা হবে না, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে বিহার সরকার।
এর মধ্যেই পুরো ঘটনা নাটকীয় মোড় নিয়েছে। আজ পটনার সহ-উপাচার্য পদে বসার রাজ্যপালের আদেশ ফিরিয়ে দিয়েছেন পটনা কলেজের অধ্যক্ষ লালকেশ্বর প্রসাদ সিংহ। রাজ্যপালের আদেশ ফিরিয়ে দেওয়ার পিছনে তাঁর যুক্তি, “আমি আরও কিছু দিন পটনা কলেজের অধ্যক্ষ থেকে এর উন্নয়ন ঘটাতে চাই। সেই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের পদে বসতে চাই না।” কিন্তু রাজনৈতিক মহলের দাবি, সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের লড়াই দেখার পরেই লালকেশ্বর আর সহ-উপাচার্যের পদে বসতে চাইছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ নিয়ে বছরখানেক ধরেই সরকারের সঙ্গে বিরোধ চলছে রাজ্যপালের। মাস সাতেক আগে রাজ্যের ছ’জন উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যের নাম অনুমোদনের জন্য পাঠালে রাজ্যপাল সেই তালিকা খারিজ করলেও অনুমোদন দেননি। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরেই ওই তালিকায় অনুমোদন দেন রাজ্যপাল। গত সাত মাস ধরে একাধিক বার রাজ্য সরকার এ বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে সময় চাইলেও তিনি সেই সময় দেননি। এ নিয়ে বেশ কয়েক বার রাজ্যপালের সঙ্গে বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে। রাজ্যের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পি কে শাহি একবার সাফ বলেই দেন, “এ রকম চলতে থাকলে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাব।” শেষ পর্যন্ত দিন পনেরো আগে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং পি কে শাহিকে দেখা করার জন্য সময় দেন রাজ্যপাল। সরকার সূত্রে খবর, ওই দিনের আলোচনার প্রেক্ষিতেই ১০ উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্য পদে সরকারের পাঠানো তালিকায় অনুমোদন দেন তিনি। কিন্তু রাজ্য সরকার সূত্রে কালই জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্যপাল উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যের যে তালিকা প্রকাশ করেছেন, তার সঙ্গে সরকারের প্রস্তাবের কোনও মিল নেই। রাজ্যের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পি কে শাহি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টির রিপোর্ট খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে পাঠানো হবে। তার পরে তিনিই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। |
|
|
|
|
|