|
|
|
|
গাঁধী ট্রাস্ট বিতর্ক |
মানহানি মামলার হুমকি কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
হরিয়ানায় জমি-বিতর্কের মোকাবিলা কী ভাবে, তা ভাবতেই ২৪ ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগের তির সরাসরি গাঁধী পরিবারের দিকে উঠছে দেখে, আজ পাল্টা আক্রমণাত্মক হল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, মানহানির মামলা করতেও তারা পিছপা হবে না।
বিতর্কের সূত্রপাত, হরিয়ানায় জমি অধিগ্রহণ নিয়ে একটি মামলা ঘিরে। জোর করে অধিগ্রহণের অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন ৬৫ জন। সেই জমিতে রাজীব গাঁধী ট্রাস্টের হাসপাতালও রয়েছে। আর ট্রাস্টের সদস্যরা হলেন সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা বঢরা। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রচার চলছে। বলা হচ্ছে, ওই ট্রাস্টের জন্য সাড়ে ৮০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা, স্থানীয় গ্রামসভা চক্ষু হাসপাতাল তৈরির জন্য মাত্র ৫.৩ একর জমি ৩৩ বছরের জন্য ট্রাস্টকে লিজে দিয়েছে। এ জন্য গ্রামসভা বছরে ১৫ লক্ষ টাকা নিচ্ছে। অভিষেকের বক্তব্য, ট্রাস্টের হাসপাতালে ২০০২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সাড়ে আট লক্ষ মানুষের চিকিৎসা হয়েছে। তা-ও ভর্তুকি মূল্যে। তাঁর কথায়, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা থাকলে তার দায়িত্ব হরিয়ানা সরকারের।
বিজেপি স্বাভাবিক ভাবেই গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে তোপ দাগার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না। এ দিন বিজেপির প্রতিবাদের জেরে রাজ্যসভার অধিবেশন দু’বার মুলতুবি করতে হয়। সভাপতি নিতিন গডকড়ীর অভিযোগ, ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে এক একর জমি নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় কংগ্রেস তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছিল। আর হরিয়ানায় সনিয়া, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা পরিচালিত ট্রাস্ট পঞ্চায়েতের থেকে পাঁচ একর জমি নিয়েছে নিয়ম ভেঙে। ট্রাস্টের ব্যাপারে খোঁজ নিতে তথ্য জানার অধিকার আইনের আশ্রয় নিচ্ছে বিজেপি। অভিষেকও আজ বলেছেন, রাজনৈতিক আক্রমণের আগেই বিজেপি-র উচিত ছিল তথ্যের অধিকার আইনের মাধ্যমে সব খোঁজখবর নেওয়া। আর হাইকোর্টে অভিযোগকারী ৬৫ জনের অন্যতম চিত্রশিল্পী অঞ্জলি এলা মেনন এ দিন বলেছেন, অধিগৃহীত জমিতে যে কর্মকাণ্ড চলছে, তা পরিবেশের ক্ষতি করবে। সে জন্যই আদালতে গিয়েছেন। হাসপাতালের কথা তিনি জানেন না। |
|
|
|
|
|