|
|
|
|
অমিতাভকে কাছে পেয়ে আবেগে ভেসে গেল পটনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বিহার অনেক বদলে গিয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যমে এ কথা তিনি অনেক শুনেছেন। এ বার নিজের চোখে দেখলেন। প্রায় ২৫ বছর পরে বিহারের মাটিতে পা দিয়ে এমনটাই বললেন অমিতাভ বচ্চন। তাঁর কথায়, “বিহারে আমি এমনিতে খুব কম এসেছি। তবে শুনেছি, বিহারের সব দিক থেকেই পরিবর্তন হয়েছে। আজ নিজের চোখে সেটা দেখলাম।”
আর পরিবর্তিত বিহার অমিতাভ বচ্চনকে হাতের কাছে পেয়ে আবেগে ভেসে গেল। তা সে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারই হোন বা ‘আরক্ষণ’ ছবিতে তাঁর সহ-অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী, কিংবা বিহারি-আমজনতা। সাংবাদিক সম্মেলনে মনোজ শুরুই করলেন ‘ফ্ল্যাশ ব্যাক’ দিয়ে, “পটনার এই মোনা হলেই বাড়ি থেকে বা স্কুল পালিয়ে অমিতজির ছবি দেখতে আসতাম। তাঁর কাছ থেকেই তো অভিনয় করার প্রেরণা পেয়েছি। এখন তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে সেই পটনায় বসে! ভাবতেই পারছি না!” পরে মনোজ কৌতুক করেই বললেন, “অমিতজির ছবিতে অভিনয় করলে যে কেউই হারিয়ে যান। সেই কারণেই তো আমি নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছি। যাতে আলাদা করে ছবিতে আমায় চেনা যায়।” |
|
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাড়িতে ছবিটি তুলেছেন অশোক সিন্হা। |
আর নীতীশ কুমার! তাঁর ১ নম্বর অ্যানে মার্গের বাসভবনে দেখা করতে গিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তৈরিই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বাড়িতে স্বাগত জানান নীতীশ কুমার এবং তাঁর দাদা সতীশ কুমার-সহ পরিবারের সব সদস্য। পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এ দেশে এমন কে আছেন যিনি অমিতজির অনুরাগী নন! ছোটবেলা থেকে ওঁর ছবির নিয়মিত দর্শক। আজ উনি আমাদের বাড়িতে এসেছেন। এত ভাল লাগছে!” আর অমিতাভ বচ্চনও নীতীশ কুমারকে বললেন, “বিহারের সব দিক থেকেই অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আগে শুনেছি। আজ দেখলাম। আপনাকে অভিনন্দন।” শুধু নীতীশ বা মনোজ বাজপেয়ীর মতো খ্যাতনামারাই নন, অমিতাভ বচ্চনকে কাছে পেয়ে আবেগে ভেসে গেল পুরো পটনাই। সওয়া দু’টো নাগাদ পটনা বিমানবন্দরে নামেন অমিতাভ। তার পরে পরিচালক প্রকাশ ঝায়ের বাড়ি ঘুরে অমিতাভ যান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনে। যেখানেই অমিতাভ, সেখানেই ভিড়। সাংবাদিক সম্মেলনে অমিতাভকে মনোজ বাজপেয়ী বলেই ফেললেন, “পটনার মানুষের উন্মাদনা একটু বেশি। অমিতজি, পটনাবাসীদের মনটা কিন্তু খুব ভাল।” |
|
|
|
|
|