নতুন ব্যবস্থা চালুর চার দিন পরেও ভোগান্তি কমল না মেট্রোর যাত্রীদের।
শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রায় লাখ খানেক স্মার্ট কার্ড বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বুধবার সকালেও স্মার্ট কার্ড নিয়ে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে গিয়ে ভুগতে হয় অনেককেই। ফলে দমদম, মহানায়ক উত্তমকুমার-সহ বিভিন্ন স্টেশনে লম্বা লাইন হয়।
সকাল ন’টা নাগাদ দমদমের প্ল্যাটফর্মে ঢোকার গেটে দাঁড়িয়েছিলেন বিশ্বজিৎ বণিক নামে এক নিত্যযাত্রী। নতুন গেটে কার্ড ছোঁয়ালেই স্ক্রিনে দেখাচ্ছে ‘কার্ড ইনভ্যালিড’। শেষে গেটের পাশে ফাঁকা জায়গা দিয়ে ঢোকেন তিনি। চাঁদনি চকে বেরোনও সে ভাবেই। একই অভিজ্ঞতা টালিগঞ্জের রাজীব ঘোষেরও। জেরবার নিত্যযাত্রীদের প্রশ্ন, স্মার্ট কার্ড কিনেও কেন এই দুর্ভোগ? অফিস পৌঁছতে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকেরই। |
শুধু স্মার্ট কার্ড নয়, টোকেন দিয়েও অনেক সময়ে গেট খুলছে না বলে অভিযোগ। সুতপা রায় নামে এক যাত্রী জানান জানালেন, টোকেন দিয়ে রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার গেট খুললেও এসপ্ল্যানেডে বেরোনোর সময়ে আর খোলেনি। কর্তব্যরত রক্ষী তাঁকে গেটের পাশ দিয়ে বার করে দেন। কিন্তু সে সৌভাগ্য হয়নি দমদমের অঞ্জলি বিশ্বাসের। পরিবারের দুই সদস্য ভিতরে ঢুকে গেলেও টোকেন বিভ্রাটে ওই তরুণী ঢুকতে পারেননি। কিন্তু কর্তব্যরত কর্মীরা কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ তাঁর।
পাশাপাশি গেট ও কাউন্টারের কর্মীরা যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্মার্ট কার্ডের গোলমালের বিষয়ে কোনও সাহায্য চাইলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কাউন্টারে টিকিটের লম্বা লাইনেই। কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছে কর্মীদের অসহযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ যাত্রীদের। এ নিয়ে বুধবার চাঁদনি চকে কাউন্টারের কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে যাত্রীদের। ক্ষুব্ধ এক যাত্রী বলেন, “এই সমস্যার জন্য আলাদা কাউন্টার করা হয় না কেন, বুঝতে পারি না।” প্রায় সব স্টেশনেই দীর্ঘ দিন ধরে অর্ধেকেরও বেশি কাউন্টার বন্ধ রয়েছে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন।
মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “নতুন ব্যবস্থায় প্রাথমিক ভাবে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তা খতিয়ে দেখে প্রস্তুতকারী সংস্থাকে জানানো হবে।” তবে, গেটের কর্মীদের বিষয়ে কোনও দায়িত্ব নিতে নারাজ মেট্রো জানায়, ওই কর্মীরা পুরনো গেটের রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। তাঁরা কেউই মেট্রোর কর্মী নন। |