|
|
|
|
বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ডিপিএল কর্মীদের ‘হেনস্থা’ বাসিন্দাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। ডিপিএলকে জানিয়েও কোনও ফল হচ্ছে না। মঙ্গলবার গভীর রাতে ফের বিদ্যুৎ চলে যেতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সেপকো এলাকার বাসিন্দারা। বিদ্যুতের লাইন মেরামত করতে আসা ডিপিএলের কর্মীদের তাঁরা হেনস্থা করেন, এমনকী সাবস্টেশনে গিয়ে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তছনছ করেন বলে অভিযোগ। ডিপিএল কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। দুর্গাপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভঙ্কর সিংহ সরকার জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন কারণে ইদানিং ডিপিএলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ কমে গিয়েছে। ফলে মাঝেমধ্যেই লোডশেডিং হচ্ছে। সেপকো এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ, প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে। গরমে নাজেহাল হচ্ছেন তাঁরা। ডিপিএল কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ ফের লোডশেডিং হয়। ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুতের লাইনের ত্রুটি খুঁজতে এলাকায় যান ডিপিএলের চার কর্মী। |
|
এই সাব-স্টেশনেই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তছনছ হয় বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র। |
ওই এলাকার বিদ্যুতের লাইন ‘ট্রিপ’ করে যাওয়াতেই বিপত্তি। সেল কো-অপারেটিভের ১২ নম্বর স্ট্রিটের কাছে তাঁরা বিদ্যুতের লাইন পরীক্ষা করছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় ২টি গাড়ি ও ১০টি মোটরবাইক করে বেশ কিছু লোকজন এসে তাঁদের গালিগালাজ করতে থাকেন। ত্রুটি নেই নিশ্চিত হওয়ার পরেও তাঁদের বাধ্য করা হয় ইনস্যুলেটর বদলাতে। শেষ পর্যন্ত ডিপিএলের বি-জোন সাবস্টেশনে গিয়ে জোর করে ঢুকে পড়ে তারা। বিপজ্জনকভাবে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তছনছ করা হয় বলে অভিযোগ। ডিপিএলের এক কর্মী বলেন, “যে কোনও মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটতে পারত।” সকালে ঘটনার খবর পেয়ে সাবস্টেশনে যান ম্যানেজিং ডিরেক্টর মৃগাঙ্ক মজুমদার-সহ অন্য আধিকারিকেরা। কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। মৃগাঙ্কবাবু বলেন, “কাজ করতে গিয়ে এ ভাবে কর্মীরা হেনস্থা হলে তাঁরা কী ভাবে কাজ করবেন? তাছাড়া যেভাবে সাবস্টেশনে ঢুকে তছনছ করা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না।” |
|
|
|
|
|