টুকরো খবর
আর্থিক দায় নিয়ে সঙ্কটে মার্কিন সরকার
আর্থিক দায় মেটাতে পারবে না মার্কিন সরকার। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম এই ধরনের অবস্থা দেখা দিতে পারে মঙ্গলবার। কিন্তু সেই পরিস্থিতি এড়াতে প্রয়োজনীয় বিল পাশ করতে এখনও এক মত হতে পারল না মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ ও নিম্ন কক্ষ। মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সেনেট ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নিম্ন কক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভস রয়েছে বিরোধী রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবারের পরে তাদের আর আর্থিক দায় মেটানোর ক্ষমতা থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো প্রয়োজন। সে জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন লাগে। কিন্তু, রিপাবলিকান পার্টির বক্তব্য, মার্কিন রাজকোষে বিশাল ঘাটতি। যদি সরকারি ব্যয় বিপুল হারে কমানো হয় তবেই ঋণের ঊর্ধ্ব সীমা বাড়ানোকে সমর্থন করা যেতে পারে। এর মীমাংসা না হওয়ায় ওবামা প্রশাসন বিপাকে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।

সমালোচনার মুখে ভারতীয় বংশোদ্ভূত গভর্নর

নিজেকে ‘শ্বেতাঙ্গ’ বলে অভিহিত করার জন্য এ বার নর্থ ক্যারোলাইনার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন গভর্নর নিকি হ্যালেকে ভর্ৎসনা করলেন ডেমোক্র্যাটরা। ২০০১-এ ভোটার নথিভুক্তির ফর্মে তিনি নিজেকে ‘শ্বেতাঙ্গ’ বলে অভিহিত করেন। এর জন্য নিকির সমালোচনা করে ডেমোক্র্যাটরা বলেন, এই ঘটনা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য করা হয়েছে। নিকিই নর্থ ক্যারোলাইনার ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মহিলা গভর্নর। ডেমোক্র্যাটদের দাবি, শ্বেতাঙ্গ না হয়েও নিজেকে ‘শ্বেতাঙ্গ’ বলে দেখানোয় নতুন ‘ভোটার আইডি’ নিয়মে তাঁর ভোট দেওয়ার ক্ষমতা হয়তো থাকবে না। তাঁদের অভিযোগ, বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিকি নিজেকে ‘সংখ্যালঘু’ বলে দাবি করেন। আবার ভোটার তালিকায় নিজেকে ‘শ্বেতাঙ্গ’ বলে অভিহিত করেছেন। ‘এই দ্বিচারিতা কেন?’ ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, ‘নিকি শ্বেতাঙ্গ কি না, তা বড় কথা নয়।’ কিন্তু মার্কিন রাজনীতিতে এই দ্বিচারিতা আমদানি করার জন্যই নিকিকে ভর্ৎসনা করেছেন তারা। নিকির অফিস অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

পাকিস্তান ছাড়লেন সিআইএ কর্তা
ইসলামাবাদে সিআইএ-র স্টেশন চিফ অসুস্থতার কারণে পাকিস্তান ছাড়লেন। ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করার অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন তিনি। গত সাত মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার পাকিস্তান ছাড়ছেন মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার এই শীর্ষ অফিসার। গত বছরের শেষে পাকিস্তানে এসেছিলেন স্টেশন চিফ। আমেরিকার সঙ্গে আইএসআইয়ের সম্পর্ক যখন তিক্ত, সে সময়ে তাঁর ফিরে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আইএসআই প্রধান পাশার সঙ্গে ওই মার্কিন গোয়েন্দা কর্তার সম্পর্ক সম্প্রতি খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এ দিকে, ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দেখাতে না পারার অভিযোগে আজই মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্যামেরন মুন্টারকে আটকে দেওয়া হয় বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতে চরম ক্ষুব্ধ হন মুন্টার। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকেও জানানো হয়।
Previous Story Bidesh First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.