|
|
|
|
পাচার রুখতে যৌথ টহল |
সীমান্ত রক্ষায় নয়া চুক্তি ভারত, বাংলাদেশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঢাকা |
ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা ও অপরাধ দমনে সহযোগিতা নিশ্চিত করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করল দু’দেশের সরকার। আজ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের উপস্থিতিতে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধানরা।
চিদম্বরম জানিয়েছেন, এই চুক্তিতে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষার কাজ অনেক সহজ হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, চুক্তিতে মানুষ পাচার ও অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান বন্ধে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কয়েকটি জায়গায় যৌথ টহলের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
চিদম্বরমের সফরে শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক আরও এক ধাপ এগিয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। সেই সম্পর্কের উপরে ভিত্তি করে সীমান্ত সমস্যা দ্রুত মেটাতে চাইছে দু’দেশের সরকার। ইতিমধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১৬২টি ছিটমহলের জনগণনা হয়ে গিয়েছে। চিদম্বরম জানিয়েছেন, ছিটমহলগুলিতে ৫১ হাজার মানুষ বসবাস করেন বলে জানা গিয়েছে। ছিটমহলের বাসিন্দারাই স্থির করবেন তাঁরা কোন দেশের নাগরিক হতে চান।
সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের প্রাণহানি রুখতে বিএসএফকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিদম্বরম।
সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের। সেই সময়েই সীমান্ত সমস্যার চূড়ান্ত সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী ভারত ও বাংলাদেশ। সাহারা খাতুন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিদেশমন্ত্রী দীপু মণির সঙ্গে দেখা করেছেন চিদম্বরম। যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে ঢাকা- কলকাতা ট্রেনের মধ্যেই যাত্রীদের নথিপত্র পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে (অন বোর্ড ইমিগ্রেশন) চিদম্বরমকে অনুরোধ করেন হাসিনা। চিদম্বরম জানান, বিষয়টি বিবেচনা করবে ভারত। বাংলাদেশের জেল থেকে ৫৯ জন ভারতীয় বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এ কথা জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। |
|
|
|
|
|