|
|
|
|
শুনলেন সুদীপের নালিশ, মমতার সঙ্গেও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থসাহায্যের বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে কার্যত নালিশ জানালেন তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ স্পিকারের সঙ্গে সর্বদল বৈঠকের পরে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুদীপবাবু দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তিনি মনমোহন সিংহকে বলেন, রাজ্যের জন্য ‘ন্যায্য অর্থ বরাদ্দ’ চাইলে তাকে ‘তুঘলকি’ বলে মন্তব্য করা হচ্ছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেই পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে বলেছিলেন, রাজ্যকে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে। সুদীপের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের বিষয়ে তিনি নিজে ‘মাথা খাটাবেন’ বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও তাঁকে জানিয়েছেন মনমোহন। |
|
সম্প্রতি প্রণব মুখোপাধ্যায় কলকাতায় গিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘সাংবিধানিক গণ্ডির’ মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের জন্য তিনি যা করার করবেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কোনও রাজ্যকে আলাদা করে সাহায্য করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, কোনও ‘তুঘলকি কাণ্ড’ করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। প্রণববাবুর এই বক্তব্য ঘিরে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। গত কাল স্টার আনন্দকে মুখ্যমন্ত্রী রীতিমতো ক্ষোভের সুরে জানান, মাত্র দু’মাস হল তাঁর সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এর মধ্যে এমন কোনও কাজ করা হয়নি, যাকে তুঘলকি বলা যায়। আর্থিক দাবি প্রসঙ্গে মমতা সাফ জানিয়ে দেন, ভিক্ষে নয়, ন্যায্য টাকাই কেন্দ্রের কাছে চাওয়া হচ্ছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার প্রসঙ্গ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে সুদীপবাবুকে নির্দেশ দেন মমতা। সেই সঙ্গেই এ দিন কলকাতায় মহারাষ্ট্র নিবাস হলে দলীয় সাংসদের নিয়ে এক বৈঠকে মমতা নির্দেশ দেন, সোমবার থেকে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশনে রাজ্যের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি এবং কেন্দ্রীয় সাহায্যের ব্যাপারে সরব হতে হবে সকলকে। দিল্লিতে থাকায় সুদীপ কলকাতার বৈঠকে ছিলেন না। সর্বদল বৈঠকের পরে নেত্রীর নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিস্তারিত জানান সুদীপবাবু।
সুদীপ পরে বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি যে, মুখ্যমন্ত্রী বারবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছেন রাজ্যের জন্য ন্যায্য আর্থিক প্যাকেজ চেয়ে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার বাস্তবায়নের কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বরং তুঘলকি প্রক্রিয়ায় অর্থ দেওয়া যাবে না এমন সব মন্তব্য করা হচ্ছে। ২৮টি রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে এক করে দেখা হচ্ছে।” সুদীপ আরও বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অন্য কিছু চাইনি। কোনও বিষয়েই দরকষাকষি করেননি আমাদের নেত্রী। শুধু মাত্র রাজ্যের মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য চেয়েছেন।” সুদীপের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নিজে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী কথা বলতে চান শুনে মমতা দিল্লিতে আসার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন সুদীপ। এমনিতেই আসন্ন বাদল অধিবেশনে মমতার এক বার দিল্লিতে আসার কথা আছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। মমতা এখনও সাংসদ এবং লোকসভায় দলীয় নেত্রী। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে লোকসভায় অধিবেশন চলাকালীন একটি বক্তৃতাও দিতে পারেন তিনি। |
|
|
|
|
|