বিতর্কের ট্রেন্টব্রিজ |
ধোনির ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তে গ্রহণ ‘ভেসলিনগেটে’-র |
গৌতম ভট্টাচার্য • ট্রেন্টব্রিজ |
ওয়াসিম আক্রম: এই প্রশ্নটা আমাকে করছেন কেন? আমার উত্তর কি আমার ক্রিকেটজীবনেই দেওয়া নেই। ইডেনে সচিনকে আমি কি অ্যাপিল উইথড্র করে ফিরিয়ে ছিলাম?
নাসের হুসেন: বেল তো আউট হয়েছে পরিষ্কার ক্রিকেটের নিয়মে। ফেরানোর প্রশ্নটা আসছে কোথা থেকে? এখন কি সে সব দিন আছে যে, খেলার স্পিরিটও বিবেচনা করতে হবে?
সঞ্জয় মঞ্জরেকর: ফুটেজটা দেখুন না, তা হলেই তো জবাব পাবেন। মর্গ্যান বার বার বেল-কে বারণ করছিল বেরিয়ে না আসতে। বেল-কে নিজের সিদ্ধান্তের দাম নিজেকেই চুকোতে হবে।
ট্রেন্টব্রিজ প্রেস লাউঞ্জ থেকে মিডিয়া বক্সপাঁচ গজ দূরে সামনাসামনি দু’টো দরজা। ওই ছোট জায়গার মধ্যে পেয়ে গেলাম ওপরের তিন জনকে। বাইরে থেকে প্রচণ্ড চিৎকার ভেসে আসছে পুরু কাচে মোড়া দরজা-জানলাকে অগ্রাহ্য করেই। চিৎকার মানে ভারতীয় দল আর আম্পায়ারদের লক্ষ্য করে অনবরত কটুক্তি। প্রাক্তন তারকারা তাতে এতটুকু প্রভাবিত নন। জোর গলায় ধোনির সিদ্ধান্তের সপক্ষে বলছেন। তখন চা-বিরতি শেষ হব হব। আর চায়ের ঠিক আগের বলেই তো সিরিজের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটার দৃশ্যায়ন হয়েছে। |
|
চা শেষ হল। অব্যাহত থাকা ব্যঙ্গ আর গালাগালির মধ্যে রাস্তা করে নামছেন আম্পায়াররা। এক-এক সময় গুলিয়ে যাচ্ছে ট্রেন্টব্রিজ ক্রিকেট মাঠ, না নটিংহ্যাম ফরেস্টের ফুটবল স্টেডিয়াম? ক্রিকেট মাঠে এতক্ষণ ধরে এমন জঙ্গি ভাষা! ঠিক এই সময়েই মহা বিহ্বল করে দেওয়া দৃশ্য! ভারতীয় ফিল্ডারদের পিছন পিছন সিঁড়ি দিয়ে নামছেন অপরাজিত মর্গ্যান। এবং তাঁরই সঙ্গে সদ্য আউট ঘোষিত হওয়া বেল। এ তো চুল্লিতে ঢোকানোর সময় শবদেহের সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়া! অলৌকিক ব্যাপার।
সাড়া পড়ে গেল গোটা মাঠে। আক্রম টেবিলের চা ছেড়ে তড়াক করে উঠে গেলেন, “মানে কী? ধোনি অ্যাপিল তুলে নিল!” পাশ থেকে এক জন বলল, তার মানে আম্পায়ারের ওপর খোদগারি। আক্রম বললেন, “তাই তো দাঁড়াচ্ছে।” নাসের হুসেন স্তব্ধবাক। “সে কী! অ্যাপিল তুলে নিল ধোনি!” নিচে নেমে এলেন মাইকেল হোল্ডিং। বললেন, “স্পিরিট অব ক্রিকেটের নিকুচি করেছে। আমি কি শান্তিরক্ষক নাকি? আমি ক্রিকেটার।” |
|
বিতর্কিত রান আউটের ছবি তুলেছে গেটি ইমেজেস। |
দ্রুত আলোচনা পিছিয়ে গেল একত্রিশ বছর আগে জুবিলি টেস্ট এবং শ্রীযুক্ত গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথে। ভৌগোলিক দূরত্ব ছাড়িয়ে একাকার হয়ে গেল মুম্বই ও নটিংহ্যাম। বব টেলরের বেলায় আবেদন তুলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক বিশ্বনাথ। টেস্ট ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ভারত। বোথামের সঙ্গে লম্বা পার্টনারশিপ করে টেলর টেস্ট জিতিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে। কিন্তু বিশ্বনাথের স্পোর্টসম্যানশিপ অম্লান থেকে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আজ ধোনি কি ঠিক করলেন তাঁকে অনুসরণ করে? ট্রেন্টব্রিজ থেকে ফোনে ধরলে বেঙ্গালুরুতে থাকা বিশ্বনাথ জানালেন, তিনি ঘটনাটা কিছুই জানেন না। নিজে গাড়ি চালাচ্ছেন।
জানলে তিনিও হয়তো অবাক হয়ে যেতেন, ধোনির মাধ্যমে নিজেকে ফিরতে দেখে। ওই রকম চাপ তৈরি হয়ে যাওয়া টেস্টে যেখানে মাঠের ভেতর থাকা প্লেয়াররা শুধু নয়, মাঠের বাইরে থাকা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়ে যাচ্ছে, সেখানে ১৩৭ রানে থাকা ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে? এ তো অভাবিত। পরিপ্রেক্ষিতটা এ বার জানা গেল ফিরিয়ে নেওয়ার। ইংল্যান্ড যে টেস্টটা পকেটে ভরে নিচ্ছে ক্রমশ। ওভারে প্রায় চার রান করে তুলছে। সবুজাভ পিচ স্লো হয়ে যাচ্ছে। এ সব কেউ ভাবতেই চাইছে না।
চ্যানেলগুলোয় দমাদ্দম ই-মেল আসা শুরু হল। নটিংহ্যামশায়ার কাউন্টির রিসেপশনে ফোন বেজে চলেছে। একটা ব্যতিক্রমী রান আউটের ধাক্কায় হানাহানির টেস্ট ম্যাচ পিছনে চলে গেছে। ফুটবল সমর্থকদের মতো আক্রমণাত্মক যাদের লাগছিল, তারাই এখন ধোনি ও তাঁর টিমকে মুক্তকণ্ঠে হাততালি দিচ্ছে। ইয়ান বেলের পুনরাবির্ভাবে। |
|
ধোনির মহানুভবতায় ফের মাঠমুখী বেল। |
নেপথ্যে কী ঘটেছিল এ বার জানানো হল: চা-বিরতিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক এবং কোচ বন্ধ ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ধাক্কা দেন। স্ট্রস এবং ফ্লাওয়ার বাইরে ডেকে নেন ধোনি ও ফ্লেচারকে। বলেন, পারলে আবেদন প্রত্যাহার করে নিন। ধোনি তখন ড্রেসিংরুমে ঢুকে নিজের প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলে জানান, তিনি রাজি। বেল এর পর ক্রিজে থেকে আরও ২২ রান বাড়িয়ে নেন। তিন নম্বরে খেলে এই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তাঁর। তাঁর এবং কেভিন পিটারসেনের পার্টনারশিপই টেস্টে শেষ বারের মতো খেলাটা ইংল্যান্ডের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। দিনের শেষে ইংল্যান্ড ৩৭৪ রানে এগিয়ে। ভারতকে সম্পূর্ণ মুছে দিয়েছে। কিন্তু কে ভাবছে সে সব কথা? রোববার এমন দিন যখন রান আউট মহাবিতর্কে গ্রহণ হয়ে গিয়েছে আদত খেলাটার। এমনকী ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়ে তৈরি কাল বিকেলের ‘ভেসলিনগেট’ বিতর্কেরও!
শেন ওয়ার্নকে দ্রুত জিজ্ঞেস করলেন মাইক আথারটনশেন, স্টিভ ওয় ক্যাপ্টেন। তোমরা বন্ধ ড্রেসিংরুমে বসে চা খাচ্ছ। হঠাৎ ঠকঠক করে দরজায় ধাক্কা দিল ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন আর ম্যানেজার। বলল, অ্যাপিলটা প্লিজ তুলে নেবে? কী করতে তখন? ওয়ার্ন হা হা করে হাসলেন। বললেন, “এটা কোনও কথা হল? আমি আর স্টিভ একই কথা বলতাম, আউট দিয়েছে আম্পায়ার। আমরা কে?” আথারটনের পাল্টা প্রশ্ন, ওরা এসে বলল খেলাটার স্পিরিটের কথা ভেবে অ্যাপিল তুলে নাও। ওয়ার্ন: তখন আমরা বলতাম, স্পিরিট তো আম্পায়ারের নির্দেশ মানার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে। রবি শাস্ত্রী পাশের বক্সে। তিনি বললেন, “অ্যাপিল ফেরানো? পাগল নাকি? আমি হলে বলতাম বেল, আরাম করে চা খাও আর ব্যালকনিতে বসে খেলা দ্যাখো।” শুধু সৌরভের মনে হচ্ছে ধোনি ঠিক করেছেন। এক পা এগিয়ে সৌরভ বললেন, “আমি হলে আবেদনই করতাম না। কারণ বেল রান নিতে যায়নি। প্লেয়ারের অভিসন্ধিটা কী সেটা বুঝতে হবে। এই বিতর্কটাই তৈরি হওয়ার মানে হয় না।” |
|
প্রতীকী: ইশান্তের মতোই ভারতীয় বোলিংয়ের হাল। |
একটু পর ইএসপিএন বক্সে এসে ডেভিড লয়েড বলে গেলেন, “তিনশো কিন্তু এখানে চতুর্থ ইনিংসে তাড়া করা যাবে।” তাঁকে ইংরেজ সাংবাদিক মনে করিয়ে দিলেন, চতুর্থ ইনিংসে ট্রেন্টব্রিজে খুব বেশি রান তাড়া করে টিম জিতেছে এমন নজির নেই। বিদেশি দলের সর্বোচ্চ টেস্ট জেতা স্কোর এখানে মাত্র ২০৯। কাজেই সারা দিনে চারশোরও বেশি রান দিয়ে ভারত কি ০-২ হারের সরণিতেই হাঁটছে না? লয়েড এ বার চুপ। যেন মৌনং সম্মতিং লক্ষণং।
সকাল থেকে ধোনির অধিনায়কত্ব বিস্তর সমালোচনার মধ্যে পড়ছিল। একে কিপিং করতে পারছেন না ভাল। প্রচুর বাই দিয়ে ফেলছেন। তার ওপর থার্ডম্যান না রেখে ইংল্যান্ডকে অন্তত ৪০/৫০ রান ওই অঞ্চল দিয়ে হতে দিয়েছেন। বোলিং পরিবর্তন নিয়েও প্রশ্ন। মাইকেল হোল্ডিং অপ্রিয় সত্যি বলেন বলে সার্কিটে খ্যাতি আছে। “টেস্ট ক্রিকেটে আর কত কিছু দেখব কে জানে। লর্ডসে মুগ্ধ হয়ে দেখলাম ধোনি পেস বল করছে। এখানে দেখছি রায়না হল স্পিনার,” হোল্ডিং ব্যঙ্গের দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
দিনের শেষে অবশ্য ফিরে ফিরে দেখার ছবি বলতে এগুলো।
ইশান্ত শর্মাকে ফ্লিক করলেন মর্গ্যান। ডিপ স্কোয়্যার লেগ দিয়ে বাউন্ডারিতে বল যাচ্ছে। ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ‘পিকে’ মানে প্রবীণ কুমার ঝাঁপিয়ে বাঁচালেন সীমানার ধারে। কিন্তু ডাইভ দিতে গিয়ে বলটা হারিয়ে ফেললেন। বলটা বাউন্ডারির ঠিক আগেই তাঁর হাতে লেগে আটকে ছিল। বাউন্ডারি হয়নি। এ বার পিকে বল খুঁজে পাচ্ছেন না দেখে তৃতীয় রান পূর্ণ করা বেল ধরে নেন চার হয়ে গিয়েছে। চা-বিরতির আগে শেষ ডেলিভারি ছিল। তিনি প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা শুরু করেন। ধোনি ততক্ষণে ফিরতি বল পেয়ে গিয়েছেন। যা তখনও খেলার মধ্যে। ‘ডেড’ হয়নি। তিনি ‘বেল’ ফেলে দেন। ইয়ান বেল হাত-পা নেড়ে বোঝাতে শুরু করেন, আম্পায়ার আসাদ রউফ ‘ওভার’ ডেকেছেন শুনে তিনি বেরিয়েছেন। আসাদ বলেন, তিনি ‘ওভার’ ডাকেননি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য পাঠানো হয় তৃতীয় আম্পায়ার বিলি বাউডেনের কেবিনে। অদ্ভুত দৃশ্য তখন। ভারতীয়রা মাঠে দাঁড়িয়ে। দুই ব্যাটসম্যান মাঠের ধারে। বাউডেন আইন অনুযায়ী বেলকে আউট ঘোষিত করেন। ভারতীয়রা লাফিয়ে উঠে পালনও করেন সেই আউটের উৎসব। এর পর জাতিস্মরের মতো বেলের ফেরা। ক্রিকেটের স্পিরিট রক্ষায় ধোনির ভূয়সী প্রশংসা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড থেকে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ধোনি এবং ভারতীয় বোর্ডের স্পিরিট রক্ষার চেষ্টা নিয়ে প্রচুর প্রশংসা। পুরো ব্যাপারটাই সাময়িক অন্য দিকে ঘুরে যাওয়া। প্রথম ইনিংসে যে টিমের ১২৪ রানে ৮ উইকেট চলে গিয়েছিল তারা এ রকম নৃশংস ভাবে দ্বিতীয় ইনিংসে পেটাচ্ছে, আলোচনার বিষয় তো এটাই হওয়া উচিত ছিল।
আচ্ছা, এটাই কি ধোনির ভাগ্য? মাইনাস পয়েন্ট নিয়ে তীব্র আলোচনার দিনে অভাবিত ভাবে প্লাস পয়েন্ট এসে যাওয়া। নাকি এই ভাগ্য তাঁর নিজের কৌশলী ভাবে গড়া? |
|
ইয়ান বেল আউট কি না জানতে স্ট্রসদের অপেক্ষা। |
|
গোলমেলে রান আউট |
• ’৭৪-এ পোর্ট অব স্পেন টেস্টে দিনের শেষ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কালীচরণকে আউট করেন ইংল্যান্ডের টনি গ্রেগ। জুলিয়েন সিলি পয়েন্টে বল ঠেলার পর নন-স্ট্রাইকার কালীচরণ দিনের খেলা শেষ ভেবে ড্রেসিংরুমের দিকে পা বাড়ান। সরাসরি থ্রোতে রান আউট করেন গ্রেগ। সিদ্ধান্ত ফেরানো হয়নি।
• ’৯৬-এ টাইটান কাপ ওয়ান ডে-তে: রান নিতে গিয়ে মাঝপথে দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্যানি ডেভেলিয়ার্সের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ফাঁকে তাঁকে রান আউট করা হয়। আম্পায়ার আউট দেওয়া সত্ত্বেও সৌরভকে ফিরিয়ে আনেন ক্রোনিয়ে।
• ’৯৯-এ ইডেনে ভারত-পাক এশীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে রান শেষ করতে গিয়ে সচিনের সঙ্গে বোলার শোয়েবের ধাক্কা লাগে এবং ক্রিজে পৌঁছতে না পেরে রান আউট হন ব্যাটসম্যান। সচিনকে ফিরিয়ে আনেননি বিপক্ষ অধিনায়ক আক্রম।
• ২০০৬-এ ক্রাইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কার সঙ্গকারার সেঞ্চুরির পর নন-স্ট্রাইকার মুরলীধরন সতীর্থকে অভিনন্দন জানাতে এলে তাঁকে রান আউট করেন নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। ব্যাটসম্যানকে না-ফিরিয়ে বরং কিউয়ি অধিনায়ক ফ্লেমিং বলেন, “ম্যাকালাম ঠিকই করেছে।”
• ২০০৮-এ ওভাল: ওয়ান ডে-তে ইংল্যান্ডের সাইডবটমের সঙ্গে সংঘর্ষে রান আউট হন নিউজিল্যান্ডের এলিয়ট। তাঁকেও ফেরাননি ইংরেজ নেতা কলিংউড। |
|
|
সিদ্ধান্ত জেনে দৃশ্যত বিরক্ত ইংরেজ ক্রিকেটার। |
|
ইয়ান বেল: মেনে নিচ্ছি খুব ছেলেমানুষি করেছি। আসলে প্রবীণ কুমারের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ দেখে প্রভাবিত হয়েছিলাম। ও বলটা খুঁজে পাচ্ছিল না দেখে মনে হয়েছিল বোধহয় চার। একই সময় আসাদ রউফ জাম্পারটা দিয়েছিলেন ইশান্তের হাতে। দেখে ভাবলাম আম্পায়ার ওভার ডেকেছেন। সন্দেহ নেই যে টেকনিক্যালি আউটই ছিলাম। তবে নিজের স্বপক্ষে বলব, আমার রান নেওয়ার প্রবণতা ছিল না। তবে এটা সততার সঙ্গে ভুল করা। ধোনি যেটা করেছে সেটা স্পিরিট অব ক্রিকেটের পক্ষে অবশ্যই দারুণ উদাহরণ। একই জায়গায় আমরা থাকলে কী করতাম বলা কঠিন।
রাহুল দ্রাবিড়: চা-বিরতিতে ফিরেও আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। অনেকেরই অস্বস্তি হচ্ছিল। বলাবলি হচ্ছিল যে, ও রান নিতে চেষ্টা করেনি। ক্রিকেটীয় আইনের দিক থেকে ভুল করেছে ঠিকই। কিন্তু আমাদের কোনও প্লেয়ারের ঘটলে আমাদেরও ভাল লাগত না। লক্ষ্মণের একটা একই রকম ঘটনা ঘটেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ও রান নিতে চেষ্টা করেনি তাতেও স্টাম্পড আউট দিয়ে দেওয়া হয়। চন্দ্রপল অ্যাপিলটা করেছিল। তখন আমাদের খারাপ লেগেছিল। তাই ধোনি যখন ড্রেসিংরুমে বলল বেল-কে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা তখন আমরা সবাই সেটা মেনে নিই।
|
|
ছবি: গেটি ইমেজেস, এএফপি
|
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ২২১
ভারত প্রথম ইনিংস: ২৮৮
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস (আগের দিন ২৪-১) |
স্ট্রস ক ধোনি বো শ্রীসন্থ ১৬
বেল ক লক্ষ্মণ বো যুবরাজ ১৫৯
পিটারসেন ক ধোনি বো শ্রীসন্থ ৬৩
মর্গ্যান ক ধোনি বো প্রবীণ ৭০
প্রায়র ব্যাটিং ৬৪
ট্রট ক দ্রাবিড় বো প্রবীণ ২
ব্রেসনান ব্যাটিং ৪৭
অতিরিক্ত ১৫
মোট ৪৪১-৬
পতন: ৬, ৫৭, ২১৯, ৩২৩, ৩২৯, ৩৩৯
বোলিং: প্রবীণ ২৯-৫-৯৩-২, ইশান্ত ২৪-৩-১১৫-১, শ্রীসন্থ ২২-৫-১০৩-২,
যুবরাজ ১০-০-৪১-১, হরভজন ৯-১-৪৭-০, রায়না ৭-০-৩০-০। |
|
|
|