রেললাইন, জাতীয় সড়ক আটকে দিল হাতির পাল
খনও জাতীয় সড়কে উঠে, কখনও রেললাইন আটকে রবিবার দিনভর ডুয়ার্সের বানারহাটে তাণ্ডব চালাল একপাল বুনো হাতি।
শনিবার বিকেলে লাগোয়া রেতির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে প্রায় ২৫টি বুনো হাতির পাল মরাঘাট, কারবলা চা বাগান এবং বিন্নাগুড়ি সামরিক ছাউনিতে ‘তাণ্ডব’ চালায়। বনকর্মীরা রাতভর চেষ্টা করে তাদের কয়েকটিকে জঙ্গলে ফেরাতে পারলেও বানারহাট রেললাইন লাগোয়া জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া ১২টি বুনো হাতিকে নিয়ে এ দিন রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয় বন-কর্তাদের। আলিপুরদুয়ারে রেল-কর্তাদের সতর্ক করার পাশাপাশি, পুলিশ ডেকে জাতীয় সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছু অতি উৎসাহী লোক হাতিদের লাগাতার উত্ত্যক্ত করায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। হাতিরা পাল্টা তাড়া করে জনতাকে।
পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে মৃদু লাঠি চালাতে হয়। হাতি তাড়াতে গিয়ে পা ভাঙে এক বনকর্মীর। জলপাইগুড়ির ডিএফও কল্যাণ দাস বলেন, “ভোর হয়ে যাওয়ায় ওই বুনো হাতির দলটি জঙ্গলে ফেরার রাস্তা পায়নি। লোকজন হাতিদের বিরক্ত করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সাহায্য নিতে হয়। সন্ধ্যার পরে দলটি জঙ্গলে ফিরেছে।”
বন দফতর সূত্রের খবর, শনিবার বিকেলের দিকে রেতি জঙ্গল থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবে প্রায় ২৫টি হাতি বেরোয়। কয়েকটি হানা দেয় মরাঘাট চা বাগানে। চা গাছ উপড়ে ফেলে। বনকর্মীরা বনে ফেরানোর চেষ্টা করলে কয়েকটি হাতি কারবালা চা বাগানে ঢুকে পড়ে। অন্য একটি দল ঢুকে পড়ে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে। ছাউনিতে ঢুকে হাতিগুলি খুঁজে নেয় জওয়ানদের জন্য মজুত করে রাখা চাল, গমের তিনটি গুদাম। রাতে মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর একপ্রস্ত চেষ্টা করেন জওয়ানেরা। তবে তাতে লাভ হয়নি।
ডুয়ার্সের বানারহাটে রবিবার দিনভর তাণ্ডব চালাল স্থানীয় রেতি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা একপাল বুনো হাতি।
কখনও তারা জাতীয় সড়ক জুড়ে দাঁড়িয়ে রইল, কখনও অবরুদ্ধ হয়ে রইল রেললাইন। তবে রাতে
হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানো গিয়েছে। ছবি: রাজকুমার মোদক
এ দিন আবার মরাঘাটের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে জনপদের কাছে চলে আসে ১০-১২টি হাতি। বিন্নাগুড়ি এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার সুভাষ বসু বলেন, “হাতিগুলিকে যাতে কোনও ভাবে বিরক্ত করা না হয়, তা লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। তাতে কিছু কাজ হয়েছে।” হাতি সামাল দিতে পাঁচটি রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। মরাঘাট চা বাগানের বাসিন্দা গনেশ মাহালির ক্ষোভ, ‘‘লাগাতার হাতির উৎপাতে আমরা বিরক্ত। হাতিরা কেন বারবার লোকালয়ে ঢুকে উৎপাত করছে, দেখা উচিত বন-কর্তাদের।”
First Page Jibjagat Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.