|
|
|
|
|
|
আউটডোর তো নয়, যেন পিকনিক
সন্দীপ রায় |
|
বড় হয়েছি মুদিয়ালির কাছে। জন্ম ৮ সেপ্টেম্বর। ছ’বছর বয়সে ৩১এ লেক অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে উঠে যাই লেক টেম্পল রোডের বাড়িতে। সত্তর থেকে বিশফ লেফ্রয় রোডে।
সাউথ পয়েন্ট এবং পাঠভবনে (প্রথম ব্যাচ) পড়াশোনার দিনগুলোতে রবিবারের অপেক্ষায় থাকতাম। ছুটি থাকত শনি-রবিবার। আমার সঙ্গী দুই ভাগ্নে তখন কলকাতায়। এক জন অমিতকুমার (গায়ক), অন্য জন সুমন্ত্র ঘোষাল। ইনি এখন মুম্বইয়ের বিজ্ঞাপন জগতের নামকরা লোক।
তখন প্রতি রোববার মেট্রো সিনেমায় সকালবেলা ছোটদের কার্টুন ছবি দেখানো হত। দু’ঘণ্টা ধরে টম অ্যান্ড জেরি ও অন্যান্য ছবি দেখে হইহল্লা করে খুশি মনে বাড়ি ফিরতাম। গ্লোবে (পুরনো) ঠিকমত টিকিট কাটতে হত, যাতে থামে আড়াল না পড়ে।
মায়ের হাতের সব রান্নাই অসাধারণ। খুব ভাল বানাতেন কন্টিনেন্টাল, কেক, মিষ্টি ইত্যাদি। রোববার স্পেশাল রান্নার চল ছিল না। বাবা ভোজনরসিক না হলেও বাঙালি রান্না এবং কন্টিনেন্টাল প্রিয় ছিল। মাঝে মধ্যে ছুটির দিন আমরা পার্ক স্ট্রিটে স্কাইরুম রেস্তোরাঁয় অপূর্ব বিদেশি কন্টিনেন্টালের স্বাদ নিতে হাজির হতাম। বাবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। বিশেষ করে রাতেরবেলা এবং দুপুরবেলা একসঙ্গে খাওয়া বাঁধাধরা ছিল। খাবার টেবিলে গল্প-আড্ডা হত। বাবার অনেক ছবিতেই খাওয়ার দৃশ্য লক্ষণীয়। |
|
গ্রীষ্ম, পুজো, বড়দিন বছরে তিনটে বড় ছুটিতে বাবা খেয়াল করে শুটিংয়ের আউটডোর ফেলতেন। যাতে পরিবার সঙ্গে যেতে পারে, আমি আনন্দ করতে পারি। এ জন্য বাবার প্রথম রঙিন ছবি ১৯৬১-এ ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’-র শুটিংয়ে একসঙ্গে গেছি। তখন বয়েস আট। বাবার কিনে দেওয়া ৮ মিলিমিটারের মুভি ক্যামেরায় শুটিংয়ের প্রচুর ছবি তুলে প্রথম হাত পাকালাম।
‘সোনার কেল্লা’র সময় প্রচুর মজাদার ঘটনা ঘটেছিল। ‘অশনি সংকেত’-এর শুটিং বেশিটাই বাইরে হয়েছিল। আউটডোরগুলো পিকনিকের মতো ছিল। একই বগিতে সবাই একসঙ্গে হুল্লোড় করতে করতে যাওয়া। তাস খেলা হত। রবি ঘোষের সঙ্গে থাকাটাই মজার। নানা জনকে নকল করে হাসাতেন। ‘গুপী গাইন’-এ অনেক বেশি ঘোরা হয়েছে। রাজস্থান চষে বেড়িয়েছি। যেটা ওই সময় ভাবাই যায় না। তখন জয়সলমীরের কথা ক’জন জানে। সবাই জয়পুর যেত। বাবা দশটা জায়গা দেখে একটা জায়গা সিলেক্ট করতেন। একটু কম দেখা, না দেখা জায়গাকেই বাছতেন। গুপী গাইনের হাল্লার কেল্লাই তো সোনার কেল্লা।
সেন্ট জেভিয়ার্সে পাসে ভর্তি হই। অনার্স নিইনি ইচ্ছে করে। কেননা, পাসে প্রচুর ছুটিছাটা থাকত। পড়ার চাপ কম। ইতিমধ্যে সিনেমা জগতের প্রতি আকৃষ্ট। সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাবাকে যতটা বেশি কাছ থেকে দেখব এবং শিখব। ফিল্মের নেপথ্যে কী হয়, সে দিকে প্রচুর উৎসাহ ও উত্তেজনা। |
আমার সেরা
সেরা চরিত্রাভিনেতা: তুলসী চক্রবর্তী, ছবি বিশ্বাস, পাহাড়ী সান্যাল, রবি ঘোষ সেরা গায়ক/গায়িকা: কিশোরকুমার, আশা ভোঁসলে সেরা শুটিং স্পট: রাজস্থান (খুব কালারফুল) সেরা চরিত্র: ফেলুদা, শঙ্কু সেরা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী: দেবব্রত বিশ্বাস, কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজয়া রায় |
|
প্রথম প্রেমটাই এডিটিং। টেকনিক্যাল-এ আগ্রহ শুরু থেকে। চোখ-কান খোলা রাখতাম। কাজের সময় বাবাকে বিরক্ত করা? একেবারেই না। করতাম ইউনিট মেম্বারদের। বছরে আট-নয় মাস ওঁদের সঙ্গেই কাটত। বাবার ইউনিটের মধ্যে এখন মাত্র দু’জন আছেন। সদ্যপ্রয়াত দুলালদা (দত্ত) আর আমি বহু ছবিতে পাশাপাশি বসে এডিটের কাজ করেছি। ওঁর কথা মনে পড়ছে। আমাদের কথাই ছিল বাবা শীতকালে আর আমি গরমকালে ছবি বানাব। যাতে ইউনিটটা সব সময় ব্যস্ত থাকে।
আমার প্রথম ছবি ‘ফটিকচাঁদ’। তখন ময়দানে রবিবার একটা মেলা বসত। মাদারি খেল, টোটকা, জাগলিং শো ইত্যাদি হরেক রকমের। ‘ফটিকচাঁদ’-এর গল্পটাই ওই মেলাটাকে ঘিরে। বাবার চিত্রনাট্য। মনুমেন্টের নীচে প্রচুর শুটিং করেছিলাম। এখন আর মেলাটা হয় না।
সিনেমা বানালে মন খারাপ লেগেই থাকে। কারণ, যা ভাবি সব সময় তা হয় না। প্রথম ছবিটাই যেমন। আট মাসে শেষ হওয়ার কথা, হল দু’বছরে। বাংলা ছবির বাজেট এমনিতেই কম। আবহাওয়া অনেক সময় সঙ্গ দেয় না। শুটিং মনমতো না হলে বাড়ি ফিরে ভাঙাচোরা মনকে তাজা করে নতুন উদ্যমে কাজে লেগে পড়ি।
এখন দ্বিতীয় রবিবার ছাড়া প্রতি রবিবারই কাজ হয়। যদিও শুটিংয়ের তোড় এসে গেলে এই ছুটিটা বেশ বিরক্তই লাগে। তবে ছবির নেপথ্যে যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন এবং শিল্পীদের কথা ভেবে ছুটি দিই।
|
|
গোটা রবিবার ছুটি পেলে বই পড়ি। ছবিও দেখি। বই পড়তে বসলেই ছবি করার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়। হলিউডের স্বর্ণযুগের ছবি দেখে সারা দিন কাটাতে পারি। বড় হয়েছি হিন্দি ছবি দেখে। বাংলা ছবি বলতে তপনবাবু, তরুণবাবুর ছবি। এঁরা বাবাকে ছবি দেখতে ডাকতেন। সঙ্গে আমিও যেতাম। উত্তম-সুচিত্রার ছবিও বাদ যেত না।
গ্রাফিক্সের কাজে ছোট থেকে সমান আকর্ষণ আমার। চলচ্চিত্র পরিচালক না হলে এই কাজেই বেশি করে মন দিতাম। ‘হীরক রাজার দেশ’ থেকে পোস্টার, হোর্ডিং ইত্যাদির কাজ করছি। বাবাও নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন যে, সব কিছু ঘরের মধ্যেই থাকবে। আগেকার সাদা-কালো ছবিতে অদ্ভুত মজা ছিল, যা কখনও পুরনো হয় না। নিজের পরিচালিত ছবিগুলির মধ্যে প্রিয় ‘ফটিকচাঁদ’। নানা কারণে স্মরণীয় ছবি ‘গুপী বাঘা ফিরে এল’। ‘উত্তরণ’টা একটা ঘোরের মধ্যে বানানো। এটা বাবার করার কথা ছিল। তবে শুটিং করে ভাল লেগেছে ‘নিশিযাপন’।
আমি চিত্রনাট্য লিখেই প্রথমে স্ত্রীকে দেখাই, তার পর মা দেখেন। মাকে ডিটেকটিভ গল্পের আকর বলা যায়। হাতে পেন্সিল ধরিয়ে দিই। ঠিক করে দেন। এখনও মাথা পরিষ্কার। ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’-র শুটিং ওড়িশা, উত্তরবঙ্গ, বোলপুরে করলাম। ছবিটাতে কোনও ভিলেন নেই। তবু রহস্য জোরদার।
সব রকমের গান শুনতেই ভালবাসি। বড় হয়েছি ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকাল শুনে। এখন আমার ছেলেও এই গানের ভক্ত। রবি ঠাকুরের গান সঠিক গাওয়া হলে ভালই লাগে। মায়ার খেলার বৈচিত্রময়তা টানে। ‘বাল্মিকীপ্রতিভা’ও ভাল লাগে। স্ত্রী, ছেলে দু’জনেই ভাল রান্না করে। ভোজনরসিক নই। মাছভক্ত তো একেবারেই না। ছুটির সকালে লুচি-বেগুনভাজা, বর্ষার দিনে খিচুড়ি-আলুভাজা, দুপুরের ভোজে ভাত-আলু সেদ্ধ, সঙ্গে ভাজা মুগের ডাল অমৃত লাগে। |
সাক্ষাৎকার রিনি দত্ত |
|
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
l মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, আপনি জানেন ‘অষ্টম অষ্টম’ মন্ত্র জপের ফলে বামেরা বিজয়া দশমী পালন করে এখন একাদশীর উপবাসে আছে। তার পর কোন আক্কেলে আপনি লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও সেই সর্বনেশে মন্ত্র জপতে শুরু করলেন? সৌরভ মাল। সোনাটিকরি l ব্রিগেডের সভায় মমতা আবার প্রমাণ করলেন যে, রাজনীতিতে নেতা-নেত্রীর তুলনায় অভিনেতা-অভিনেত্রীর বাজার বেশি! অঙ্কন চাকলাদার। টালিগঞ্জ l সেদিন আর বেশি দূরে নেই, যে দিন তৃণমূলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার জন্য এই প্রদেশের জনসংখ্যার অন্তত ৪৭ শতাংশ বঙ্গশ্রী সম্মানে সম্মানিত হবেন! টিয়া দাস। কালনা l পকেটমার১: আরে এই তো দেখলাম চৌরাস্তার মোড়ে তুই ধরা পড়েছিস। পাবলিক ঝাড় দেবে বলে তৈরি হচ্ছে। পালালি কী করে বল তো দেখি?
পকেটমার২: আরে সিগন্যালটা লাল হয়ে গেল। আর অমনি গান বেজে উঠল: ‘থাম রে থাম রে তোরা ছেড়ে দে ছেড়ে দে’... অমনি পাবলিক আমায় ছেড়ে দিল। পল্টু ভট্টাচার্য। রামরাজাতলা l মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএম নেতাদের দশ বছর চুপ করে থাকতে বলেছেন। নেতারা এত দিন দলীয় সমর্থক ছাড়া অন্য কারও কথা শুনতে না চাইবার জন্য কালার ভূমিকায় দিব্যি অভিনয় করতেনও এখন যদি বোবার ভূমিকায় থাকতে বলা হয়, তবে বোধ হয় কষ্ট করে মূকাভিনয়টাও শিখতে হবে! অরূপরতন আইচ। কোন্নগর l প্রশ্ন: দলের সংকটে অধিনায়করা কী করতে পারেন?
উত্তর: ক্রিকেট মাঠ হলে উইকেট কিপার অধিনায়ক গ্লাভস, প্যাড খুলে বল করে দলকে ম্যাচে ফেরাবার চেষ্টা করেন। আর রাজনীতির মাঠ হলে অধিনায়ক দলীয় সমর্থকদের চিঠির উত্তর দিয়ে আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করেন! আশামঞ্জরী। l ছিন্ন জনসম্পর্ক জুড়তে ৭ বছরের শিশুর কাটা হাত জুড়ে দেওয়া ডাক্তারকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিপিএম! রতন দত্ত। বাঘাযতীন l সিঙ্গুর চুক্তি’ সিনেমাটি কবে যে মুক্তি পাবে, সে আশায় বসে আছি! সিনেমাটিতে কি খারাপ কোনও সিন আছে, যার জন্য সেন্সর বোর্ড আটকে রেখেছে? সনৎ সিংহ। টালিগঞ্জ l বাসের ভাড়া বৃদ্ধি এখনই নয়, জানিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন কিছু দিন পরেই ভাড়া বাড়ছে! কুন্তা দাস। রবীন্দ্র পল্লি |
|
|
|
তোমাদের পরে রেখে বিশ্বাস,
মানুষ ফেলছে শেষ নিশ্বাস।
বিপন্ন আঙুলের চেষ্টা,
বৃথা যায় দেখি সবই শেষটা।
বেজে যায় শুধু নাকি বিপ্ বিপ্,
এ প্রান্তে নিভে যায় প্রাণ দীপ।
পুলিশি আশ্বাসের ফ্লপ শো, ঘুঁটে মালা গলে নাও,
একটু লজ্জা পাও অন্তত এক বার১০০ |
|
|
|
রীণা ঘোষ |
ভালবাসা-প্রেম- লাভ যা-ই বলি না কেন, এর পিছনে রয়েছে একটি অনুভূতি, যা আমাদের হৃদয়ের সঙ্গে লেপ্টে থাকে, কোনও অবস্থাতেই উপড়ে ফেলা যায় না।
১৯৬৪-’৬৫ সাল যোগমায়া দেবী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কলেজ থেকে সবে ফিরেছি বাড়িতে। এক আত্মীয়ের বিয়ের তত্ত্ব নিয়ে এসেছে গুটিকয়েক ছেলে। কালো রঙের ফুলপ্যান্ট আর সাদা শার্টের ছেলেটি নজর কাড়ল আমার। আলাপ-পরিচয়ের পর ধীরে ধীরে কখন যে কে কাকে মন দিয়ে ফেলেছি, বুঝতে পারিনি।
ছেলেটি বাইরে থাকত। তাই ফোন বা চিঠিই ছিল আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম। কিন্তু বাবা ভীষণ আপত্তি জানালেন। ফলে বিনা রক্তপাতে বিচ্ছেদ।
দশটি বছর কেটে গেল স্কুলে মেয়ে ঠ্যাঙাতে আর চেতলা থেকে এলগিন কিংবা রাসবিহারী পর্যন্ত টিউশনির খেলায়। তবুও ছুটোছুটির অন্তরালে মনের মধ্যে উঁকি মারে সেই অবুঝ প্রেম, মন উচাটন হয় কিন্তু ‘চরৈবেতি চরৈবেতি’ মন্ত্রে চলেছি তখন।
এমনই এক গোধূলি সন্ধ্যায় রাসবিহারী থেকে কাঠের পোল (তখন ছিল) পেরোবার জন্য ছুটছি। হঠাৎ শাড়ির প্রান্ত ধরে টান। অবাক, এ কী! সেই দশ বছরের বিরহী আত্মা। আনন্দ ও উত্তেজনায় মুখ দিয়ে কথা বেরোল না। সেই নীরবতা ভাঙল। বাড়ির ও নিজেদের কুশল বিনিময়ে চলে গেল। মনটা আমার উদাস হয়ে গেল। দশ বছরের পরিবর্তন চোখে পড়ল, যেন জীবন সংগ্রামের ক্লান্ত সৈনিক।
আবার শুরু হল সেই সনাতন ভালবাসার পর্ব। এ বার যেন অনেকটা শক্তপোক্ত, বাবার তর্জনগর্জনও যেন একটু কমে এল। আর যেন কারও কোনও আপত্তি নেই। সেই প্রেমই জীবনের সঙ্গী হল। বিবাহিত তেত্রিশটি পেরিয়ে আজ জীবন সায়াহ্নে তরী ঠেকেছে। মেয়ে বিবাহিত। নাতি-জামাই প্রবাসী। ছেলে এম আর-এ কর্মরত।
পঙ্গুত্ব ঘিরে আছে আমাকে চলচ্ছক্তিহীন তবুও মন আজও সেই সোনালি সন্ধ্যার দিকে তাকিয়ে বেঁচে থাকার আনন্দ অনুভব করে। |
|
|
হিনা রব্বানিকে দেখার পর প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে
বিদেশমন্ত্রী না করে ভারতের উপায় নেই পল্টু দাম, কসবা |
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
আমাদের অবৈতনিক গৃহশিক্ষক ‘নাড়ুদা’ শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা একটি শতচ্ছিন্ন ছাতা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গৃহশিক্ষকতা করেও সংসারে সুখের মুখ দেখতে পেতেন না। ফলস্বরূপ, স্ত্রীর গঞ্জনা, সন্তান-সন্ততির অবজ্ঞা তাঁর কপালে জুটত। মাঝে মধ্যেই শ্রান্ত পথিকের মতো বটবৃক্ষ তলে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আমাদের বাড়ি এলে আমার মা চা ও জলখাবার সহ নাড়ুদাকে আপ্যায়ন করতেন। নাড়ুদার সেই শতচ্ছিন্ন ছাতাটি আমাদের কিশোর মনে গভীর ভাবে দাগ কাটত। প্রতিজ্ঞা করলাম কিছু না করতে পারি অন্তত সেই শতচ্ছিন্ন ছাতাটি পাল্টে দেব। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতার কলেজে ভর্তি হলাম। ঠিক করলাম বাড়ি থেকে দেওয়া হাত খরচার টাকা থেকে বাঁচিয়ে একটা ছাতা কিনে নাড়ুদাকে দেব। কলকাতার কর্মব্যস্ততা, কলেজের বন্ধুবান্ধবের সাহচর্য ইত্যাদিতে নাড়ুদার কথা বেমালুম ভুলে গেলাম। বছর দুই পরে এক পুজোর ছুটিতে বাড়ি গিয়ে শুনলাম নাড়ুদা আর নেই। না পারিনি, নাড়ুদার সেই শতচ্ছিন্ন ছাতাটা পাল্টে দিতে।
অমিয়কুমার মিত্র,
কলকাতা-৮৪ |
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের। ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান। ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন
থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ভালবাসার বাস্তব
কাহিনি আমাদের পাঠান, যে কাহিনি এই
কঠিন সময়েও ভরসা জোগাতে পারে।
২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|