|
|
|
|
শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের হাল দেখেও হতাশ স্বাস্থ্যকর্তারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা• কৃষ্ণনগর |
শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের রোগীদের খাবারের তালিকা দেখে আঁতকে উঠলেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
সপ্তাহে দু’দিন মাংস দেওয়ার কথা থাকলেও একদিনও দেওয়া হয় না। মাছের আকার ছোট। ভাল নয় রান্নার মানও। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি স্বাস্থ্য দফতরের অন্যতম সহ অধিকর্তা সত্যপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “সদর হাসপাতালের তুলনায় অবশ্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের অবস্থা ভাল। জরুরি বিভাগ নিয়ে কিছু সমস্যা অবশ্য রয়েছে। সমস্যা রয়েছে খাবার নিয়েও। তবে সদর হাসপাতালের মতো এখনও অত খারাপ হয়ে যায়নি।”
শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য কর্তারা। তাঁরা খেয়াল করেছেন, এই বিভাগে পর্যবেক্ষণ-শয্যা দু’টির পরিবর্তে একটি। পরীক্ষা করার টেবিলটিও যত বড় হওয়ার কথা, তা ঠিক তেমনটি নয়। জরুরি বিভাগের মধ্যে গিজগিজ করছে ভিড়। সত্যপ্রিয়বাবু বলেন, “আসলে ঠিকঠাক পরিচালনার অভাব রয়েছে। আমরা জরুরি বিভাগে দু’জন চিকিৎসক রাখার কথা বলেছি। অথচ থাকেন এক জন করে চিকিৎসক। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা নিজেদের সুবিধা মতো তিনটি শিফটের বদলে চারটি শিফট করে নিয়েছেন।”
সরকারি হাসপাতালের হাল খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যকর্তাদের নিয়ে যে ১২টি দল তৈরি করেছেন, তারই একটি দল এসেছে কৃষ্ণনগরে। সদর ও জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করার পরে তাঁদের চোখে ধরা পড়েছে বেশ কিছু সমস্যা। সত্যপ্রিয়বাবু বলেন, “এক্স রে, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, প্যাথোলজি বিভাগ নির্দিষ্ট সময় মতো খোলা থাকছে না। ফলে দিনের দিন পরীক্ষা হচ্ছে না। অপেক্ষার সময় দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “এই সব বিভাগগুলি সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা বলেছি আমরা। অন্য সময়ে যাতে ডাকলেই চিকিৎসককে পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। কিন্তু কোনওটাই হচ্ছে না।” এ ছাড়াও, দু’টি জেলা হাসপাতালেই কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই। ফলে রোগীর বাড়ির লোকের ঢোকা বেরোনোর উপরে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে দু’একটি ওয়ার্ডে শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি থাকলেও সামগ্রিক ভাবে এই হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলির অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভাল বলেই তিনি জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|