টুকরো খবর

জ্বরে আক্রান্ত এক শিশুকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিষ্ণুপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শুক্রবার সকালের ঘটনা। তৃণমূলের নেতৃত্বে ওই শিশুর আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। স্মারকলিপি দেওয়া হয় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি রাধানগর গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা দীপঙ্কর বাগদির অভিযোগ, “আমার সাত বছরের ছেলে সুদীপকে জ্বর নিয়ে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করাই। সেদিন থেকে মোট চারটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। সেগুলি সবই মেয়াদ উত্তীর্ণ। ফলে কোনও কাজই হয়নি। জ্বরও ছাড়েনি। উল্টে জ্বর বেড়েছে। নার্সরা কেন মেয়াদ উত্তীর্ণ ইঞ্জেকশন আমার ছেলের শরীরে প্রয়োগ করলেন, তার উত্তর চাই।” ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় তৃণমূল গ্রাম প্রধান কাজল বাগদির নেতৃত্বে গ্রামবাসী ও তৃণমূল কর্মীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রধান বলেন, “যে নার্সদের গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।” তাঁর আরও অভিযোগ, “নতুন এক জন চিকিৎসক এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার তিন-চারদিনের মাথায় আর আসছেন না। ফলে রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন।” দু’টি বিষয়ই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কুমারেশ ঘোষকে তিনি জানান। কুমারেশবাবু বলেন, “ওই দু’টি বিষয়ের অভিযোগ পেয়েছি। নার্সরা ইঞ্জেকশন দেওয়ার আগে মেয়াদের বিষয়টি দেখেনি, তা তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আবারও তমলুক জেলা হাসপাতালের বেহাল ছবি ধরা পড়াল সভাধিপতি ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের চোখে। শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি গান্ধী হাজরা ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দাস আচমকাই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। সকাল ন’টায় বহির্বিভাগ খোলার কথা। কিন্তু সওয়া ন’টা নাগাদ বহির্বিভাগে গিয়ে তাঁরা দেখেন মেডিসিন, শিশু, চক্ষু, নাক-কান-গলা প্রতিটি বিভাগেই লম্বা লাইন। অথচ চিকিৎসকের ঘর তালাবন্দি। দাঁতের বহির্বিভাগে চিকিৎসক এলেও কর্মীরা কখন তালা খুলবেন, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন। পরিবার কল্যাণ বিভাগে নার্স থাকলেও চিকিৎসক নেই। প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষার পরেও বহির্বিভাগের অধিকাংশ চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। হাসপাতালের সুপারও এই অনুপস্থিতির কারণ জানাতে পারেননি।
বহির্বিভাগে সভাধিপতি।-নিজস্ব চিত্র।
উপস্থিতির খাতায় দেখা যায় গত চার মাস ধরে বেশিরভাগ চিকিৎসকের নামের পাশের ঘরই ফাঁকা। সভাধিপতি বলেন, “স্বাস্থ্য অধিকর্তা এক মাসে আগে পরিদর্শনে এসেছিলেন। তারপরেও যে হাসপাতালের হাল ফেরেনি, তা এ দিন বুঝলাম। যে সব চিকিৎসক অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের শো-কজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এ দিন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড, ব্লাড ব্যাঙ্ক ও রোগীদের জন্য রান্নার জায়গাও ঘুরে দেখেন জেলা সভাধিপতি, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

স্মৃতিভ্রংশের রোগীদের জন্য দ্বিতীয় ডে-কেয়ার সেন্টার চালু হল শহরে। সল্টলেকে সম্প্রতি এই কেন্দ্রের উদ্বোধনে হাজির ছিলেন স্মৃতিভ্রংশের চিকিৎসক, রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। স্মৃতিভ্রষ্ট মানুষদের বাড়িতে একা রেখে পরিজনদের পক্ষে বাইরে বেরোনো সম্ভব হয় না। জীবিকার প্রয়োজনে বেরোতে হলে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। এই ডে-কেয়ার সেন্টারে বাড়ির লোকেরা রোগীদের রেখে যেতে পারবেন। ‘অ্যালঝাইমার্স অ্যান্ড রিলেটেড ডিসঅর্ডার সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া’র কলকাতা শাখার উদ্যোগে তিন বছর আগে যাদবপুরে প্রথম কেন্দ্রটি চালু হয়েছিল। সংগঠনের সম্পাদক প্রীতিগোপাল দত্তরায় জানান, ১ অগস্ট থেকে সল্টলেকে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। সোম থেকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কেন্দ্রটি খোলা থাকবে।

প্রসাদ খেয়ে মারা গেল এক স্কুলছাত্রী। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও ৬০ জন। তার মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে ডিব্রুগড়ে। পুলিশ জানায়, কাল রাজগড় এলাকায় একটি বাড়িতে পুজোর পর প্রসাদ বিলি হয়েছিল। ওই প্রসাদ খেয়ে রাত থেকেই একের পর এক জন অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। রাজগড় হাসপাতালে ৪০ জনের চিকিৎসা চলছে। ২০ জনকে অসম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ সকালে পিংকি রেখা বরদলৈ নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বিষক্রিয়ায় মারা যায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রসাদের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য গুয়াহাটিতে পাঠানো হয়েছে। ডেপুটি কমিশনার ডি কে দ্বিবেদী টিংকোনার সার্কেল অফিসারকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

‘সুরক্ষিত রক্তদান’ বিষয়ক আলোচনাসভা হয়ে গেল খড়্গপুরে। সঙ্গে রক্তদান শিবির। উদ্যোক্তা খড়্গপুর ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অর্গানাইজেশন। সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকম ট্রেনিং সেন্টারের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ডিআরএম (খড়্গপুর) রাজীবকুমার কুলশ্রেষ্ঠ, রেলের চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট মিত্থল কুমার মহাডি, চিফ কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়র এম আলম প্রমুখ। বক্তরা রক্তদান ও রক্ত সংরক্ষণের নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় উদ্যোক্তা সংগঠনের সম্পাদক এস এ নাজমি।

চোখ খুলে দিয়েছে সাত বছরের বরুণ খান্ডেলওয়াল। লিফটে কনুইয়ের উপর থেকে বাঁ হাত কেটে পড়ে গিয়েছিল ছোট্ট ছেলেটির। ভয় না-পেয়ে কাটা হাতটি নিয়ে সেই অবস্থাতেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিল সে। দ্রুত অস্ত্রোপচার করে হাত আবার লাগিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। তার পরেই একবালপুরে ডায়মন্ড হারবার রোডের উপরে ওই বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ‘হ্যান্ড ক্লিনিক’ খোলার সিদ্ধান্ত নেন। যাতে বরুণের মতো অন্যেরাও সময়মতো বিশেষ পরিষেবা পেতে পারেন। সেই ক্লিনিকের উদ্বোধন হল শুক্রবার।
Previous Story Swasth First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.