|
|
|
|
আদিবাসীরা আন্দোলনে, আজ বৈঠক |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বাগান থেকে চা পাতা বাজারে পাঠাতে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের বাধা দূর করতে এ বার উদ্যোগী হলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। চা শ্রমিকদের মজুরি চুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের চা শ্রমিক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সদস্যরা তরাই ও ডুয়ার্সের সমস্ত চা বাগানের চা পাতা বাইরে যেতে বাধা দিচ্ছেন।
ওই ঘটনায় বিপাকে পড়ে গিয়েছেন মালিকপক্ষ। সমস্ত চা বাগানে প্রচুর চা পাতা আটকে গিয়েছে। কিন্তু অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পুরোপুরি অনড়। এই পরিস্থিতিতে এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আজ, শনিবার বৈঠক ডেকেছেন। পরিষদের রাজ্য সম্পাদক তেজকুমার টোপ্পো বলেন, “প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শুকরা মুণ্ডা এবং তরাই ডুয়ার্স আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি জন বারলা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।” গৌতমবাবুও বলেন, “পরিষদের নেতাদের অনুরোধ করেছি, যাতে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি চুক্তির সমস্যা মিটবে বলে আশা করছি।” এদিনও কনসালটেটিভ কমিটি অব প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশন -সহ বিভিন্ন চা বাগান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পরিষদের ওই আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এই আন্দোলনের জেরে শ্রমিকদের বেতন ও রেশন বিলিতে সমস্যা তৈরি করবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। প্রগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শুকরা মুন্ডার বক্তব্য, “মালিকরা চা বের করতে না পারায় ক্ষতি হচ্ছে তা জানি। তবে তাঁরাই বা কেন সময় পেরোবার ৪ মাস পরেও মজুরি চুক্তি করেননি? অবরোধ কবে প্রত্যাহার করা হবে তা আলোচনা করে ঠিক করা হবে।”
পরিষদের তরাই-ডুয়ার্স আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি জন বার্লা বলেন, “নতুন করে মজুরি নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত চায়ের গাড়ি বাগানের বাইরে যাবে না।” আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা ডুয়ার্স চা-বাগান ওয়াকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনোহর তিরকি বলেন, “ইতিমধ্যে সরকার সমস্যা মেটাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছে। সেজন্য বিকাশ পরিষদ এক দিনের ধমর্ঘট তুলে নিয়েছে। কারও আন্দোলন নিয়ে কোনও সমালোচনা না-করে বলছি এভাবে মেড টি বাইরে বের হতে না দিলে পাতা বিক্রি হবে না। শ্রমিকদের মজুরি ও রেশনের ক্ষেত্রে অসুবিধে হবে।” পরিষদের কালিচিনি আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাজেশ বারলা বলেন, “কিছু ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা আমাদের আন্দোলনের সমালোচনা করে এ বার মালিক পক্ষের হাত শক্ত করছেন।” |
|
|
|
|
|