|
|
|
|
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ |
টাকা খরচ করেনি তিন জেলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
গত অর্থবর্ষে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের এক টাকাও খরচ করতে পারেনি জঙ্গলমহলের তিন জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। এমন অভিযোগ করছেন খোদ ওই দফতরের মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। শুক্রবার বাঁকুড়ার সার্কিট হাউসে ওই তিন জেলা ছাড়াও বীরভূম ও বর্ধমানের জেলা সভাধিপতি এবং প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। পরে তিনি বলেন, “পর্ষদের অধীনে পাঁচটি জেলার ৭৪টি ব্লক রয়েছে। গত অর্থবর্ষে (২০১০-২০১১) পর্ষদের বরাদ্দ করা প্রায় ৩৪ শতাংশ টাকা খরচ হয়নি। এ দিন বৈঠকে প্রতিটি জেলাকে পরিকল্পনাভুক্ত কাজ দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। অতীতের অনেক কাজের ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ জমা পড়েনি। তা যাতে দ্রুত জমা হয়, সে বিষয়টিও দেখতে বলা হয়েছে।
পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য প্রায় ৫ কোটি সাড়ে ৭৬ লক্ষ টাকা, বাঁকুড়ার জন্য প্রায় ৮ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা ও পুরুলিয়ার জন্য প্রায় ৩ কোটি সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। তার মধ্যে বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া জেলা এখনও পর্যন্ত এক টাকা খরচ করতে পারেনি। ওই জেলাগুলি কাজের ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ জমা করতে পারেনি। বীরভূম জেলা ৪.৬৭ শতাংশ ও বর্ধমান জেলা ১৬.৯৮ শতাংশ খরচ করেছে।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি ও পুরুলিয়ার জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ বলেন, “গত অর্থবর্ষের শেষের দিকে ওই টাকা পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলিকে দেওয়া হয়। তারপর বিধানসভা নির্বাচন ছিল। নির্বাচন বিধির জন্য টেন্ডার করায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে, এখন পুরোদমে কাজ চলছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেই সব কাজের শংসাপত্র পেয়ে যাব।”
সে কথা স্বীকার করেছেন মন্ত্রী সুকুমারবাবু। মন্ত্রীর কথায়, “এখন নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়তলির ১৬টি মৌজায় লাক্ষা শিল্পের উন্নতির জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বেলপাহাড়ির আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য এ দিনই প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হল। বন, কৃষি, উদ্যান ও মৎস্য দফতরের সমন্বয় ঘটিয়ে এই এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতে চাই।”
একই সঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, দফতরে ইঞ্জিনিয়ার-সহ বেশ কয়েকটি পদে লোক দরকার। তাঁদের অভাবে কিছু কাজে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কর্মী নিয়োগ করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহল পরিদর্শন করে গেছেন। আপনি কবে থেকে পরিদর্শনে যাবেন? মন্ত্রীর জবাব, “আমার এলাকা ঝাড়গ্রাম, বিনপুরে ঘুরেছি। পর্যদের ৭৪টি ব্লকেই আমি একে একে যাব। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা জানতে চাইব।” |
|
|
|
|
|