|
|
|
|
বিএড বাধ্যতামূলক |
তৃণমূলের চক্রান্ত, বলছে এসইউসি প্রভাবিত কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে স্কুলশিক্ষক হওয়ার জন্য বিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করার যে সরকারি পরিকল্পনাকে ‘কর্ম সংকোচনের চক্রান্ত’ বলে মনে করছে এসইউসি প্রভাবিত একটি কমিটি। যার নাম ‘এসএসসি পরীক্ষার্থী সংগ্রাম কমিটি’। রাজ্য সরকার যাতে ওই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে, সে জন্য তারা ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং স্কুলশিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করারও চেষ্টা করেছে তারা। তবে সফল হয়নি। এসইউসি রাজ্যের প্রধান শাসকদল তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন জোটসঙ্গী। এসইউসি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, ‘এসএসসি পরীক্ষার্থী সংগ্রাম কমিটি’ তাঁদের শাখা সংগঠন নয়। এটি একটি স্বাধীন সংগঠন। এসএসসি পরীক্ষায় বসার জন্য বিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক হোক, যাঁরা এটা চান না, তাঁরা এসইউসি না করলেও এই সংগঠনের ছাতার তলায় আসতে পারেন।
ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)-র নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যে এসএসসি পরীক্ষায় বসতে গেলে বিএড থাকতেই হবে। তবে আগামী ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এই নিয়ম থেকে রাজ্যকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন স্কুলশিক্ষা সচিব বিক্রম সেন। ফলে ওই সময়সীমা পর্যন্ত বিএড না থাকলেও এসএসসি পরীক্ষায় বসা যাবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও বেশি গুরুত্ব পাবেন বিএড ডিগ্রিধারীরাই। এতেই আপত্তি ‘এসএসসি পরীক্ষার্থী সংগ্রাম কমিটি’-র। তাদের বক্তব্য, বিএড বাধ্যতামূলক করলে বহুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ওই পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন এবং বিএড কলেজগুলি মুনাফালোভীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিণত হবে। কমিটির যুক্তি, রাজ্যে বিএড কলেজ ১৩৬টি। তার মধ্যে ১৪টি সরকারি এবং ১২২টি বেসরকারি ও আধা বেসরকারি। মোট আসন ১৩৫৪৭টি। বিএড পড়ার চাহিদার তুলনায় যা নিতান্তই অপ্রতুল। এর পর এসএসসি-তে বসতে বিএড বাধ্যতামূলক হলে চাহিদা আরও বাড়বে। সেই সুযোগে বহু ব্যবসায়ী নতুন বিএড কলেজ খুলবেন, যেখানে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পড়ুয়া ভর্তি করা হবে। অর্থাৎ রাজ্যের দরিদ্র পড়ুয়ারা শিক্ষক হওয়ার সুযোগই পাবেন না। |
|
|
|
|
|