|
|
|
|
বৈঠক করলেন মন্ত্রী |
বেআইনি যাত্রী-যানে লাগাম দিতে উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক দিকে রাজ্য চাইছে ভর্তুকির খুঁটি সরিয়ে রুগ্ণ সরকারি পরিবহণকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে। অথচ অন্য দিকে পারমিটহীন অবৈধ যানের দাপটে বেসরকারি যান-মালিকদের যেমন লোকসান হচ্ছে, তেমন সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।
এ বার সেই বেআইনি গাড়িতে রাশ টানতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাজ্যের পাঁচটি সরকারি পরিবহণ নিগম এবং বিভিন্ন জেলার পরিবহণ-কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পরিবহণমন্ত্রী সুব্রত বক্সি। একই সঙ্গে তিনি সব ধরনের সরকারি পরিবহণে আয় বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করতে বলেছেন বলে মহাকরণের খবর। ফি বছর সরকারকে নির্দিষ্ট মাসুল দিয়ে সংশ্লিষ্ট রুটে যাত্রী পরিবহণের অনুমতি মেলে। কিন্তু সেই রুট-পারমিটের তোয়াক্কা না-করে বহু গাড়ি নিয়মিত বেআইনি ভাবে যাত্রী তুলছে বলে অভিযোগ। বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিমল গুহের কথায়, “বিস্তর বেসরকারি গাড়ি বিনা পারমিটে দিনের পর দিন ‘শাট্ল’ খাটছে। পরিবহণ দফতরের লোকসান হচ্ছে। আবার যাঁদের বৈধ পারমিট আছে, তাঁরাও সমস্যায় পড়ছেন।” জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটসের যুগ্ম সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্থানীয় রুটের জন্য আরটিএ, এবং আন্তঃ জেলা বাস চালাতে এসটিএ-র পারমিট লাগে। তা না-নিয়েই অনেক রুটে বাস চলছে। এত দিন সরকারকে বার বার বলেও কাজ হয়নি।” তবে বিমলবাবু ও তপনবাবু দু’জনেই জানাচ্ছেন, নতুন পরিবহণমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। দফতর সূত্রের খবর: বেআইনি গাড়িকে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিংবা আইন মেনে সেগুলোকে বৈধতা দেওয়া যায় কি না, অফিসারদের সে সব খতিয়ে দেখতে বলেছেন মন্ত্রী। এ দিনের বৈঠকে অবশ্য পরিবহণ-মালিকদের কোনও প্রতিনিধি হাজির ছিলেন না।
এ দিকে বন্ধ থাকা কিছু রুটে ফের ট্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা ট্রাম কোম্পানি (সিটিসি)। সংস্থার চেয়ারম্যান শান্তিলাল জৈন ১৫% আয় বাড়ানোরও আশ্বাস দিয়েছেন এ দিনের বৈঠকে। পরে শান্তিলালবাবু বলেন, “বিধাননগর থেকে কাঁকুড়গাছি-মানিকতলা-রাজাবাজার-সূর্য সেন স্ট্রিট-মহাত্মা গাঁধী রোড হয়ে হাওড়া ব্রিজ পর্যন্ত নতুন ট্রামরুট চালু হচ্ছে।” ১ অগস্ট পরিবহণমন্ত্রী নতুন রুটের উদ্বোধন করবেন বলে জানান চেয়ারম্যান। |
|
|
|
|
|