টুকরো খবর
|
সোনামুখী থেকে উদ্ধার নিখোঁজ বালক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
|
বাড়ি ফিরে দাদা ও মায়ের সঙ্গে শুভাশিস। নিজস্ব চিত্র। |
স্বামী-বিচ্ছিন্না নমিতা দে-র হারিয়ে যাওয়া সাত বছরের ছোট ছেলে শুভাশিসকে সোনামুখী শহর লাগোয়া পাথরমুড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ বিষ্ণুপুর থেকে সোনামুখী যাওয়ার বাসে উঠে পড়ে সে। পরে পাথরমুড়ায় নেমে পড়ে। গ্রামের পথে তাকে ঘুরতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেয়। ছেলেটির গায়ে জ্বর থাকায় তাকে সোনামুখী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার আনন্দবাজারে শুভাশিসের নিখোঁজ হওয়ার প্রতিবেদন দেখে সোনামুখী থানা বিষ্ণুপুর থানার পুলিশকে খবর দেয়। এ দিন শুভাশিসের দিদা ভানুমতী দাস এক পড়শিকে নিয়ে সোনামুখী থানায় যান। উদ্ধার করে আনেন আদরের নাতিকে। সোনামুখী থানার পুলিশ জানায়, দিদাকে চিনতে পারায় শুভাশিসকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত সে আছে বিষ্ণুপুর শহরের রঘুনাথসায়র এলাকায়, তার মাসির বাড়িতে। ছেলে ফেরার খবর পেয়ে বড় ছেলে সৈকতকে নিয়ে বোনের বাড়িতে ছুটে যান নমিতাদেবী। কিছুতেই কোল ছাড়া করতে চাইছেন না ছোট ছেলেকে। নমিতাদেবীর বোন, পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা অমিতা মোদক বলেন, “দিদিকে বাড়িতে তো আটকে রাখা যাচ্ছে না। দুই ছেলেকে ছাড়া থাকতেও পারবে না। বাড়ির সকলের সঙ্গে আলোচনা করে দেখি ওদের হোমে পাঠানো যায় কি না।” ভানুমতীদেবীর কথায়, “ওদের নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই। রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কি ভাল দেখায়? বাড়ি করে দিয়েছি, তা-ও থাকতে চাইছে না। এখন ভাবছি হোমই ভাল। সেখানে খাওয়া, পড়ার সঙ্গে অন্তত চিকিৎসাটাও হবে।”
|
ডিভিসি-র প্রকল্পে ফের কাজ বন্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
জমিহারা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে কাজ বন্ধ রইল ডিভিসি-র নির্মীয়মাণ তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে। পরে অবশ্য ডিভিসি ও বিভিন্ন বেসরকারি ঠিকাদারী সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পাবড়া ও নাড়াগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও জমিহারারা। শুক্রবার প্রকল্পের মূল গেট আটকে দুই গ্রামের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায় পুরো প্রকল্প এলাকায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে বিভোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। তালিকা আনুযায়ী কাজ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরে বিক্ষোভ উঠে যায়।
|
ধৃত দুই যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হুড়া |
এক তরুণীকে অপহরণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে হুড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সাদিক আনসারি ও মন্টু ডোম। তারা হুড়া থানার শামুকগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রাম থেকেই ওই দু’জনকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই থানারই কালিয়াবাসা গ্রাম থেকে বুধবার এক তরুণীকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় ওই গ্রামেরই যুবক শম্ভু মাহাতো। এর পরেই শম্ভু-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণীর বাবা। ধৃত দু’জনকে শুক্রবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
|
বৃদ্ধ নিখোঁজ হুড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হুড়া |
বাঁকুড়ায় ডাক্তার দেখাতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছেন এক বৃদ্ধ। মন্মথনাথ কুণ্ডু নামে ওই বৃদ্ধ হুড়ার থানাগোড়া এলাকার বাসিন্দা। গত ২৫ জুলাই ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধ। তাঁর ছেলে অসীমানন্দ বলেন, “বাবা বেশ কিছু দিন ধরে হৃদরোগে ভুগছেন। মাঝেমাঝেই বাঁকুড়ায় ডাক্তার দেখাতে যান। সে দিনও ভোরে বাড়ি থেকে বেরোন। সন্ধ্যা পর্যন্ত না ফেরায় আমরা খোঁজখবর শুরু করি। বাবার কাছে মোবাইল ফোন না থাকায় যোগাযোগও করতে পারিনি।” হুড়া থানায় তাঁরা নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধের খোঁজ চলছে।
|
গয়না, টাকা ছিনতাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাড়া |
বন্দুক দেখিয়ে তিন শিক্ষিকার কাছ থেকে সোনার গয়না, টাকা ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। সংযুক্তা পাঠক, মৌসুমী ঘোষ ও মিতালি দাস নামে তিন শিক্ষিকার বাড়ি পুরুলিয়া শহরে। তাঁরা পাড়ার রিঘুডি হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। ওই দিন তাঁরা লিপানিয়া থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় কয়েক জন দুষ্কৃতী মোবাইল, টাকা, সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়।
|
স্কুলে চুরি |
দরজা ভেঙে মিড-ডে মিলের চাল-সহ সিমেন্ট, রড চুরি হয়েছে পুরুলিয়ার কাশীপুরের লায়েকডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শুক্রবার সকালে গ্রামবাসীরা চুরির ঘটনা জানতে পেরে প্রধান শিক্ষককে জানান। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেউ ধরা হয়নি।
|
স্মারকলিপি |
একশো দিনের কাজে দলবাজি-সহ নানা অভিযোগে শুক্রবার পুঞ্চার চাঁদড়া-পায়রাচালি পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দিল তৃণমূল। প্রধান সিপিএমের জয়দেব সিংহ বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক নয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
ইলামবাজার পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইলামবাজার |
সিপিএমের সদস্যেরা দল বদল করায় ইলামবাজার পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এল তৃণমূল। ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান আগে পদত্যাগ করেছিলেন। শুক্রবার ছিল নতুন প্রধান নির্বাচন। ইলামবাজারের বিডিও অনিরুদ্ধ নন্দী বলেন, “১৯ জন সদস্যের মধ্যে ১৫ জন সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সকলের সম্মতিতে তৃণমূলের কৃষ্ণকান্ত হাজরা প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।” এই পঞ্চায়েতের ১৯ জন সদস্যের মধ্যে ১৩ জন বামফ্রন্ট ও ৬ জন তৃণমূলের। গত ২৭ জুন ওই ৬ তৃণমূল সদস্য ও ৫ বামফ্রন্ট সদস্য পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের যাদব বাগদির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু সে দিন অনাস্থা গৃহীত হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন যাদববাবু। এ দিন ছিল নতুন প্রধান নির্বাচনের দিন। বিডিও-র নির্দেশ অনুযায়ী পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক সুধাংশুশেখর চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এ দিন প্রধান নির্বাচনের সভা হয়। উপস্থিত ১৫ সদস্যই তৃণমূলের কৃষ্ণকান্ত হাজরাকে নতুন প্রধান হিসেবে সমর্থন জানান।
তৃণমূলের ইলামবাজার ব্লক সভাপতি জাফরুল ইসলামের দাবি, দীর্ঘ দিন পরে সিপিএমের কাছ থেকে তাঁরা এই পঞ্চায়েত দখল করলেন। ৯ জন বাম সদস্য তাঁদের দলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েতে এখন তাঁদের মোট ১৫ সদস্য রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সিপিএমের ইলামবাজার লোকাল কমিটির সম্পাদক মহম্মদ কামালুদ্দিন বলেন, “পঞ্চায়েতে তৃণমূল অসহযোগিতা করছে। ভয় দেখিয়ে আমাদের সদস্যদের দলে টানছে। আমরা শুধু চাই, শান্তির পরিবেশ বজায় থাকুক।” |
|