|
|
|
|
হেনস্থার অভিযোগে পদত্যাগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
নানা কারণে মাঝে মধ্যে তাঁকে হেনস্থার স্বীকার হতে হচ্ছে--এই অভিযোগে পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইস্তফা দিলেন মানবাজারের মানভূম কলেজের টিচার ইনচার্জ প্রদীপ মণ্ডল। তিনি বলেন, “ছাত্রদের হোস্টেল খালি করে দেওয়ার দাবিতে কে বা কারা পোস্টার দিয়েছে। তাই নিরাপত্তার দাবিতে আবাসিক পড়ুয়ারা বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত অফিসে আমাকে আটকে রাখে। তা ছাড়া, মাঝে মধ্যে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর অশান্তি সামাল দিতে গিয়ে আমাকে হেনস্থার স্বীকার হতে হয়েছে। এই সব চাপ আমি নিতে পারছি না। তাই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে আমার পদত্যাগপত্র অফিসে জমা দিয়েছি।”
শুক্রবার কলেজে গিয়ে দেখা যায়, হোস্টেলের বাইরে কিছু পোস্টার পড়ে রয়েছে। তাতে অবিলম্বে হোস্টেল খালি করে দেওয়ার হুমকি রয়েছে। কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া বিশ্বনাথ মুর্মু ও দ্বিতীয় বর্ষের সাহেবরাম মুর্মুরা বলেন, “হোস্টেল ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা পোস্টারগুলি দিয়েছে। আমরা ভয়ে আছি। এ ব্যাপারে রাতেই টিচার ইনচার্জকে জানিয়েছি।” কলেজ পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, বুধবার এসএফআই সদস্যরা ক্লাসে ঢুকে তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য নবাগত পড়ুয়াদের কাছে আবেদন রাখছিলেন। এর পরেই একই দাবিতে ক্লাসে আসে টিএমসিপির সদস্যরা। এর ফলে ক্লাস নিতে গিয়ে ফিরে যান কয়েক জন শিক্ষক।
এ দিকে, এই সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজিয়া শুরু হয়েছে কলেজের দুই ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং টিএমসিপির মধ্যে। কলেজের ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএফআইয়ের রাজীব হাঁসদার অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়েক জন পড়ুয়ার সঙ্গে বাইরের কিছু লোক অবিলম্বে হোস্টেল খালি না করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এতে টিএমসিপি সমর্থক কিছু ছাত্র জড়িত আছে। তবে ক্লাসে গিয়ে আমাদের সংগঠনে যোগ দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।” টিএমসিপির ব্লক সভাপতি অপূর্ব সিংহ বলেন, “মিথ্যা অজুহাতে টিচার ইনচার্জকে ঘিরে রেখেছিল এসএফআই সমর্থিত হোস্টেলের ছাত্ররা। আর নবাগত পড়ুয়াদের তাদের সংগঠনে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।” টিচার ইনচার্জ প্রদীপবাবু জানান, ছাত্রদের দ্বন্দ্বের জেরে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সে জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। কলেজের প্রধান করণিক চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “প্রদীপবাবুকে ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। শুক্রবার তিনি কলেজে আসেননি।” কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি যামিনীকান্ত মাহাতো বলেন, “এ ব্যাপারে কিছু জানি না।” |
|
|
|
|
|