|
|
|
|
কর্মসুনিশ্চিত প্রকল্পের সচেতনতা শিবির |
বিমান হাজরা • রঘুনাথগঞ্জ |
একশো দিনের কর্ম সুনিশ্চিত প্রকল্পের সুফল আমজনতার কাছে অধরাই থেকে যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে দেশ জুড়ে প্রতিটি ব্লকে তাই সচেতনতা শিবির করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। শিবিরে যোগ দিলে এক দিনের মজুরি বাবদ ২০০ টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের লালগোলায় শুরু হয়েছে রাজ্যের প্রথম সচেতনতা শিবিরটি।
দেশ জুড়ে এমন অন্তত ২৭ হাজার শিবির করার পরিকল্পনা রয়েছে শ্রম মন্ত্রকের। ওই মন্ত্রকের অধীনে কেন্দ্রীয় শ্রমিক শিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক অধিকর্তা স্বপনকুমার রায় বলেন, “২০০৫ সালে দেশ জুড়ে ১০০ দিনের কর্মসুনিশ্চিত প্রকল্প চালু হলেও এখনও দেশের প্রায় ৪৫ কোটি মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা যায়নি। সারা দেশে মাত্র ১১ কোটি ৮৭ লক্ষ পরিবার জব কার্ড পেয়েছেন। এর মধ্যে কাজ চেয়ে আবেদন করেছেন মাত্র ৫ কোটি ৩৪ লক্ষ।”
তিনি জানান, বহু পরিবার এখনও জব কার্ড পাওয়ার ব্যাপারে সে ভাবে সচেতন নন। কাজ পাওয়ার ব্যাপারেও গ্রামাঞ্চলে উৎসাহের ঘাটতি রয়েছে। তাই শিবিরের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের সচেতন করতে চাইছে কেন্দ্র। যাতে, এই কর্মসংস্থান প্রকল্পের সুযোগ -সুবিধা নিতে পারেন তাঁরা। পঞ্চায়েতের প্রতিটি বুথ স্তর থেকে অন্তত এক জন করে গ্রামবাসীকে শিবিরে এনে এই প্রকল্পে মানুষের আস্থা ফেরাতে চাইছে শ্রমমন্ত্রক। শিবিরে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের কর্তারা ছাড়াও থাকছেন পঞ্চায়েতের কর্তারা।
শ্রমমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা দেশে এই প্রকল্পে সব থেকে বেশি মজুরি দেওয়া হয় হরিয়ানায়, ১৭৯ টাকা। চণ্ডীগড়ে বরাদ্দ ১৭৪ টাকা। পশ্চিমবঙ্গে এই মজুরি ১৩০ টাকা। তবু কাজে আগ্রহের অভাব রয়েছে। শ্রমমন্ত্রকের হিসেব বলছে, ওড়িশায় গত বছর ৬০ লক্ষ ৪৫ হাজার জব কার্ড নথিভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু কাজের আবেদন করেছিলেন ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার পরিবার। বিহারে গত বছর জব কার্ড পেয়েছিল ১ .১৫ কোটি পরিবার। কিন্তু একশো দিনের প্রকল্পে কাজ চেয়ে আবেদন করেছিলেন মাত্র ২২ .৩০ লক্ষ পরিবার। গুজরাতের পরিসংখ্যান, জব কার্ড -৩৯ .১১ লক্ষ, আবেদনকারী -২২ লক্ষ ৩০ হাজার।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারীর ব্যাখ্যা, “অন্য রাজ্যের কথা বলতে পারব না। তবে এ রাজ্যে ২০০৫ সালে এই প্রকল্প চালু হলেও পূর্বতন রাজ্য সরকার সচেতনতা প্রসার ঘটাতে না পারায় তা আম জনতার কাছে পৌঁছতেই পারেনি।”
লালগোলাতেই কেন এই শিবির করা হল? স্বপনবাবু জানান, লালগোলা এই প্রকল্পের ব্যাপারে অনেকই পিছিয়ে রয়েছে। এ বছর ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টি পঞ্চায়েতই এই প্রকল্পে কোনও কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। অভিযোগ মেনে নিচ্ছেন লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের সাজাহান আলি। তিনি বলেন, “যতটা আগ্রহ থাকা উচিত ছিল, স্থানীয় মানুষের সে আগ্রহ নেই। অনেকেই বাইরে কাজ করতেও চলে যাচ্ছেন।” |
|
|
|
|
|