|
|
|
|
উদ্যোগ সরকারি শূন্যপদ পূরণের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট। কিন্তু উন্নয়ন কাজের অন্যতম অন্তরায় হিসাবে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মীর সঙ্কট। পশ্চিম মেদিনীপুরে এক-তৃতীয়াংশ পদই শূন্য! সেই সঙ্কট মোচনে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের উন্নয়ন ও পরকিকল্পনা দফতর থেকে জেলাকে জানানো হয়, কোন দফতরের কর্মী সংখ্যা কত, শূন্যপদ কত, মঞ্জুর হওয়া পদের থেকেও কোন দফতরে কত অতিরিক্ত কর্মী প্রয়োজন--তা রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। তার পরে রাজ্য সরকার কর্মী নিয়োগের জন্য পদক্ষেপ করবে। এই ব্যবস্থায় রাজ্যে বর্তমানে সরকারি কর্মচারীর প্রকৃত সংখ্যাও জানা হয়ে যাবে রাজ্যের। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত জানিয়েছেন, শূন্যপদ পূরণে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। তার প্রাথমিক ধাপে এই জেলায় কত পদ শূন্য তা রাজ্য সরকারকে জানানো হবে। সে জন্য তথ্য সংগ্রহ চলছে।
এই তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েই দেখা যাচ্ছে, জেলায় রাজ্য সরকার অনুমোদিত কর্মীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪১৫। তার মধ্যে শূন্যপদের সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৩৬। অর্থাৎ বর্তমানে কর্মী রয়েছেন ২১ হাজার ৭৯৭ জন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ২৯টি ব্লক। এ ছাড়াও রয়েছে এক গুচ্ছ প্রশাসনিক দফতর। সব দফতরেই কর্মী সংখ্যা কম। কৃষি দফতরে সরকার অনুমোদিত পদ ২৮৮৭। তার মধ্যে শূন্যপদের সংখ্যাই ১৬৬৭! অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি শূন্য। ৬৬ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর থাকার কথা, আছেন ৫৬ জন। ৬ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদের ২টি শূন্য। ৪৪৩ জন কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক থাকার কথা, ২০৯টি পদে কর্মী নেই। প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগের ৯২৩টি পদের মধ্যেও শূন্য ৪২৪টি পদ। স্বাস্থ্য দফতরের ৭৮৪৭টি পদের মধ্যে ২৮৪৭টি শূন্য। সব পদ পূরণ করার পরেও আরও ৪৩২ জন নতুন কর্মী নিয়োগ প্রয়োজন বলে স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব। পূর্ত দফতরে ১৭৫৭টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৭৫৩টিই শূন্য। ব্লকস্তরে ২৭৯১টি পদের জন্য অনুমোদন রয়েছে রাজ্য সরকারের। সেখানেও শূন্যপদের সংখ্যা ১১৯৬টি। অনুন্নত জঙ্গলমহলে হাল আরও খারাপ। বিনপুর-১ ব্লকে ৬৫ জন কর্মীর অনুমোদন থাকলেও ৩৪টি পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়ে আছে। বিনপুর-২ ব্লকে ৮২ জন কর্মী থাকার থাকা, ৪৭টি পদ শূন্য। ঝাড়গ্রামে ৫০টি পদের মধ্যে ২৪টি শূন্য। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে ৩৯টি পদের মধ্যে ১৭টি ও গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকে ১১৭টি পদের মধ্যে ৫৯টি, নয়াগ্রামে ৯৯টি পদের মধ্যে ৫৫টি শূন্য! এ ভাবেই চলছে প্রশাসন। নতুন সরকার কর্মী নিয়োগের উপর জোর দিচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। যে কারণেই কোন দফতরের কর্মী সংখ্যা কত, শূন্যপদ কত, সেই পরিসংখ্যান পাঠানো হচ্ছে সরকারের কাছে। |
|
|
|
|
|