ঘাটাল অত্যাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল
বারও সিপিএম কর্মীর পরিবারের উপরে অত্যাচারের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দলীয় নেতাদের নির্দেশ অমান্য করতেও যে দলের কর্মীদের দ্বিধা নেই, শুক্রবার তা-ও দেখল ঘাটালের শ্যামপুর।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই শ্যামপুরের বাসিন্দা সিপিএমের স্থানীয় শাখা কমিটির সদস্য নিশীথ মণ্ডলকে মারধর ও তাঁর পরিবারের উপর অত্যাচারের আভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ৫০ হাজার টাকা ‘জরিমানা’ ও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। বিষয়টি তৃণমূলের ব্লক স্তরের নেতৃত্ব এবং বিধায়ককে লিখিত ভাবে জানান নিশীথবাবু। কিন্তু লাভ হয়নি। উল্টে চাষে বাধা, বয়কট শুরু হয়। দু’মাস ধরে এই অবস্থা চলার পরে এখন যাতে আমন ধান চাষ করতে পারেন, সে জন্য ফের তৃণমূল নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নিশীথবাবু ও তাঁর ভাইরা। শুক্রবার তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি অজিত দে, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ মাঝি-সহ অন্য নেতারা গ্রামে গিয়ে তাঁদের উপস্থিতিতে চাষের কাজ শুরু করতে বলেন মণ্ডল পরিবারকে। কিন্তু ঘণ্টা খানেক পরে তাঁরা গ্রাম ছাড়তেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মণ্ডল পরিবারের উপরে হামলা চালায়। লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়, মহিলাদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করায়। গ্রামে পুলিশি টহল চলছে। ঘাটালের সিআই অসিত সামন্ত বলেন, “বেশ কয়েকজনের নামে মামলা হয়েছে। তবে তারা সবাই পলাতক।”
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত স্বদেশ মণ্ডল, শঙ্কর কুণ্ডু, বিবেক মণ্ডল, ভোলানাথ মণ্ডল। ঘটনায় ক্ষুব্ধ ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই। তিনি বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা দলের অভিযুক্ত কর্মীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তৃণমলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি অজিত দে-র বক্তব্য, “আমরা গ্রামে গিয়ে চাষ শুরু করতে বলেছিলাম। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ওই পরিবারের পাশে থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও এমন ঘটল। অভিযুক্তরা দলীয় সদস্য হলেও, পুলিশ যাতে তাদের গ্রেফতার করতে পারে, সে জন্য সব রকম সাহায্য করব।” এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতিরও বক্তব্য, “নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বার বার সাবধান করলেও স্থানীয় স্তরে প্রতিদিনই অন্য দল ছেড়ে শ’য়ে শ’য়ে লোক তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। তারাই অন্যায় কাজ করে দলের সম্মান নষ্ট করছে।” সিপিএমের ঘাটাল জোনাল সম্পাদক অশোক সাঁতরা বলেন, “শুধু নিশীথবাবুই নন, প্রতিদিনই আমাদের দলের কোনও না কোনও সদস্য বা সমর্থক পরিবার তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাদের হাতে মার খাচ্ছে। জরিমানা, বয়কট সবই চলছে। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।”
Previous Story Medinipur Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.