|
|
|
|
দুর্নীতির অভিযোগ দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পরীক্ষাগারের ঘর দীর্ঘদিন তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে নানা সামগ্রী। দেওয়াল জুড়ে ফাটল। ছাদ ছুঁইয়ে জল পড়ছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবস্থা দেখে রীতিমতো অসন্তুষ্ট উচ্চশিক্ষা দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি। কমিটির সদস্যদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাল পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ তাঁরা আগেই পেয়েছেন। এ বার সচক্ষে দেখলেন। এখন পরিকাঠামো ঢেলে সাজতে কী প্রয়োজন, তা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছে কমিটি।
নিয়োগে দুর্নীতি ও বেশ কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই শুক্রবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন উচ্চশিক্ষা দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটির তিন সদস্য সুনন্দ সান্যাল, অভিরূপ সরকার ও অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন পাবলিক ইন্সট্রাকশন দফতরের জয়েন্ট ডিরেক্টর প্রবীর দাসও। শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেই উপাচার্য নন্দদুলাল পড়্যার সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। প্রাথমিক আলোচনার পর উপাচার্যের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরা হয়। অভিরূপবাবুরা জানান, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশেই তাঁদের আসা। নিয়োগ সংক্রান্ত ও আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু অভিযোগ উচ্চশিক্ষা দফতরে জমা পড়েছে। |
|
দেওয়ালে ফাটল দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। নিজস্ব চিত্র। |
তা খতিয়ে দেখতেই তাঁরা এসেছেন। জানা গিয়েছে, কমিটির আসার আগাম খবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল না। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকেই ফ্যাক্সবার্তায় সব জানানো হয়। নড়েচড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ফিনান্স অফিসারের সঙ্গেও কথা বলেন সুনন্দবাবুরা। তাঁদেরও নানা অভিযোগের কথা জানিয়ে দ্রুত সদুত্তর দিতে বলা হয়। সুনন্দবাবু বলেন, “আগে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাই। তারপরই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হবে।” অভিরূপবাবুরও বক্তব্য, “বেশ কিছু বিষয়ে আমরা জানতে চেয়েছি। প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু হল। কাগজপত্র হাতে এলে তারপরই তদন্ত এগোনো সম্ভব হবে।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, উপাচার্য জানিয়েছেন, মাস ছয়েক হল তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। ফলে এখনই সব কাগজ দেওয়া সম্ভব নয়। কিছু দিন সময় লাগবে। পরে উপাচার্য বলেন, “ওঁরা বেশ কিছু বিষয়ে জানতে চেয়েছন। আমরা চেষ্টা করছি, ১৫ দিনের মধ্যেই অধিকাংশ কাগজপত্র পৌঁছে দেওয়ার।”
বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরাএ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন। তখনই পরিকাঠামো দেখে অসন্তুষ্ট হন তাঁরা। যেমন ইংরাজি বিভাগে ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাবরেটরি রুম দীর্ঘদিন তৈরি হলেও ব্যবহার হয় না। দেওয়াল স্যাঁতস্যাঁতে। ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। কমিটির এক সদস্যের মতে, “নিম্মমানের কাজ হয়েছে।” পরে তাঁরা যান কেমিস্ট্রি বিভাগে। ঢোকার মুখেই চোখে পড়ে দেওয়ালে ফাটল। কমিটির বক্তব্য, অসংখ্য অভিযোগ এসেছে। সব খতিয়ে দেখেই শিক্ষামন্ত্রীকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|