অর্থ অমিল, শহরে সঙ্কট মিড ডে মিলে
ত এপ্রিল থেকে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ। ফলে মেদিনীপুরের স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল চালাতে হিমসিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটিগুলি। অবিলম্বে অর্থ বরাদ্দ না হলে অগস্টের গোড়া থেকেই শহরের অধিকাংশ স্কুলে খাবার দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা। গত ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ রাঁধুনিদের বেতনও। বরাদ্দ চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ড কমিটিগুলোর হাতে এখনও অর্থ এসে পৌঁছয়নি। পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়ে মিড-ডে মিলে (মেদিনীপুর পুরসভা) ওসি সদানন্দ দে বলেন, “ইতিমধ্যেই বরাদ্দ অর্থের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ফের অর্থ চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে। তবে এখনও কোনও স্কুলে মিড-ডে মিল বন্ধ হয়েছে বলে খবর নেই। তবে অধিকাংশ ওয়ার্ড কমিটি জানিয়েছে, আর ধার করে ছাত্রছাত্রীদের খাবার দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।” মেদিনীপুর শহরের ১২১টি স্কুলে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আগেও অর্থ সঙ্কটে বেশ কিছু স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের খাবার দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, মিড-ডে মিলের জন্য মার্চ মাস পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত আর অর্থ আসেনি। ওয়ার্ড শিক্ষা কমিটিগুলিই মিড-ডে প্রকল্প দেখভাল করে। অর্থ বরাদ্দে দেরি হলে সাধারণত ধার করে প্রকল্প চালু রাখা হয়। পরে অর্থ এলে টাকা শোধ করে দেওয়া হয়। ওয়ার্ড কমিটির উদ্যোগেই এ কাজ হয়। কিন্তু এখন যা অবস্থা তাতে ধার করেও চলছে না। ছ’মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় রাঁধুনিরাও ক্ষুব্ধ। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম ২৫ জন ছাত্র পিছু এক জন করে রাঁধুনি থাকার কথা। কোনও স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১০০ হলে সেখানে ২ জন রাঁধুনি থাকবে। এর পরের প্রতি ১০০ জন ছাত্র পিছু আরও এক জন করে রাঁধুনি থাকতে পারে। রাঁধুনিরা প্রতি মাসে এক হাজার টাকা বেতন পান। ফেব্রুয়ারি থেকে বেতন না দেওয়ার কথা মানছেন পুরকর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, “একটা সমস্যা রয়েছে। সমাধান হয়ে গেলেই রাঁধুনিদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে।” তবে দ্রুত অর্থ না এলে মেদিনীপুরের অধিকাংশ স্কুলে যে মিড-ডে মিল বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না পুর-কর্তৃপক্ষ।
মিড-ডে মিলের ভারপ্রাপ্ত জেলা আধিকারিক শাশ্বতী দাসের অবশ্য দাবি, “মে পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে সমস্যা দেখা দেওয়ার কথা নয়।” বাস্তব ছবিটা কিন্তু আলাদা। শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর বলরাম সিংহ বলেন, “ধার করে দু’মাসের বেশি মিড-ডে মিল চালানো যায় না। কবে টাকা আসবে তারও ঠিক নেই।” ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর সুনন্দা খানের আশঙ্কা, “দ্রুত অর্থ বরাদ্দ না হলে অনেক স্কুলেই মিড-ডে মিল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।” ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব জানান, সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীরাও আর ধারে খাদ্যসামগ্রী দিতে চাইছেন না।
Previous Story Medinipur Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.