|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
জোগানে টান |
সম্প্রসারিত বাধা |
দেবাশিস দাস |
আমতলা-বারুইপুর রোড চওড়া করার পরিকল্পনা এখনই কার্যকর হচ্ছে না।
জেলা পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাড়ে ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তার প্রস্তাবিত প্রকল্পের অর্থের যোগান নিয়ে কোনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি ন্যশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (নাবার্ড) কাছ থেকে। তাই এখনই রাস্তাটি চওড়া করার কাজে হাত দিচ্ছে না জেলা পূর্ত দফতর।
আমতলা-বারুইপুর রোড দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বারুইপুর, সোনারপুর ও সংলগ্ন এলাকা-সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দা এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। ভবিষ্যতে এই রাস্তার গুরুত্ব আরও বাড়বে। কারণ, বারুইপুরে জেলা সদর কার্যালয় স্থানান্তরিত হলে জেলা সদরে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা হবে এটাই। |
 |
জেলা পূর্ত দফতরের তথ্য বলছে, বর্তমানে রাস্তাটি সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া। ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের মান অনুযায়ী এই রাস্তাটি এখন ‘ইন্টারমিডিয়েট লেন’ হিসেবে রয়েছে। জেলা পূর্ত দফতর রাস্তাটিকে ‘ডাবল লেন’ করার পরিকল্পনা করেছিল। ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের মান অনুযায়ী ‘ডাবল লেন’ রাস্তা ন্যূনতম সাত মিটার চওড়া হতে হবে।
এই শর্ত অনুযায়ী জেলা পূর্ত দফতর সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া আমতলা-বারুইপুর রোডকে আরও দেড় মিটার চওড়া করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে রাস্তাটি সাত মিটার চওড়া হবে। ‘ইন্টারমিডিয়েট লেন’ থেকে রাস্তাটি উত্তীর্ণ হবে ‘ডাবল লেন’-এ। তাই রাস্তাটি চওড়া করার প্রস্তাব দিয়ে নাবার্ডের কাছে একটা প্রকল্প পাঠিয়েছিল জেলা
পূর্ত দফতর।
কিন্তু নাবার্ডের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবিত প্রকল্পে কত অর্থ খরচ হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি বলে জেলা পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তাই অর্থের নিশ্চয়তা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত না মেলায় জেলা পূর্ত দফতর এই রাস্তা চওড়া করার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখছে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে এই কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের আবু তাহের সর্দার বলেন, “নাবার্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার চেষ্টা করছি। এর আগেও রাস্তাটি চওড়া করার পরিকল্পনা করেছিলাম আমরা। সমস্যার সমাধান করে এই রাস্তায় যত দ্রুত কাজ শুরু করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।” |
|
এই রাস্তায় একাধিক রুটের বাস, ট্রেকার, অটো সমেত অন্যান্য যানবাহন চলে। সঙ্কীর্ণ রাস্তার দুই দিক দিয়ে যানবাহন চলাচল করার জন্য সব সময়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে এই পথের নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ। এই পথে কয়েকটি বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে বলেও তাঁরা জানান।
সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত জেলা সদর এই রাস্তা সংলগ্ন হওয়ায় রাস্তাটির বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে। শুধু ‘ডাবল লেন’ নয়, আমি যখন সাংসদ ছিলাম তখন রাস্তাটি ‘ফোর লেন’ হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেই সব পরিকল্পনা এখন কোন স্তরে রয়েছে তা বলতে পারব না।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের শামিমা শেখ বলেন, “রাস্তাটি চওড়া করার জন্য আমরা পরিকল্পনা করেছি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছি।”
এই বিষয়ে জেলা পূর্ত দফতরের আলিপুর ডিভিশনের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার সৌমিত্র সেন বলেন, “সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত
খোঁজখবর নেব।” |
ছবি: পিন্টু মণ্ডল |
|
|
 |
|
|