‘ট্রেন্টব্রিজ উইকেটটা সর্বত্র বয়ে বেড়াতে চাই’ |
শ্রীসন্থ আছেন শ্রীসন্থের মতোই। মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে। শুক্রবার ট্রেন্টব্রিজে
আগুনে বোলিংয়ের পর তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন গৌতম ভট্টাচার্য। |
প্রশ্ন: ইংরেজ সমর্থকরা আপনাকে আজকে বার বার বিদ্রুপ করছিল। এটাকে কী ভাবে নিলেন?
শ্রীসন্থ: ভাবছিলাম এদের ধন্যবাদ দেব। এরা বোধহয় আমার জেদটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আমি লোকটা এ রকমই। আমার নিজের ওপর ছেড়ে দেওয়া হলে অনেক কিছু করতে পারি না। কিন্তু যে-ই আমায় এসে কেউ বলে, তোর দ্বারা এটা হবে না, তখনই আমার রোখ চেপে যায়। সে জন্য ওদের আবার ধন্যবাদ জানাই।
প্র: গত বার এ মাঠে আপনাকে মোটা টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। প্রচুর নিন্দা হয়েছিল আপনার অভব্যতার।
শ্রীসন্থ: তাতে কিছু এসে যায় না। পাস্ট ইজ পাস্ট। আমি এখন আজকে ছাড়া কিছু নিয়ে ভাবি না।
প্র: আজকে ট্রেন্টব্রিজ উইকেট সম্পর্কে কী বলবেন?
শ্রীসন্থ: আহা, এই উইকেটটা যদি সর্বত্র আমার সঙ্গে বয়ে নিয়ে বেড়াতে পারতাম! আমায় বিশেষ কিছু করতে হয়নি। সিমটা সোজা রেখে বলটা পিচ আপ করে গেছি। |
|
শ্রীসন্থকে অভিনন্দন জানানোর ছুট টিম ইন্ডিয়ার। ট্রেন্টব্রিজে শুক্রবার। -এএফপি |
প্র: পিটারসেনকে বাউন্সার দেওয়ার পর উনি আপনাকে পিচ ঠুকে কী বলছিলেন?
শ্রীসন্থ:ও কী বলতে চাইছিল আমার কিছু আসে যায় না। ও শর্টবলটা ঠিকমতো খেলতে পারে না। তাই দু’একটা বাউন্সার করে পরীক্ষা করছিলাম।
প্র: ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে খেলতে আসাটা সাহায্য করেছিল?
শ্রীসন্থ: দারুণ করেছে। বিশেষ করে অ্যালান ডোনাল্ডের পরামর্শ। ডোনাল্ড আমায় দেখিয়েছেন কী ভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে সিম বোলিং করতে হয়। কী ভাবে ইনসুইং করাতে হয়। ওনার সঙ্গে কথা বলার আগে ইনসুইং সম্পর্কে আমার ভাল আন্দাজই ছিল না।
প্র: বার বার চাপের মুখে আপনি ফিরে আসেন দলে, আর পারফর্ম করেন। কী বলেন নিজেকে?
শ্রীসন্থ: আমি কেরল থেকে এসেছি। জানি প্রতি মুহূর্তেই আমার জায়গা অনিশ্চিত। নিজেকে বলি, জায়গার জন্য লড়াই করো।
প্র: কী বলবেন এই প্রত্যাবর্তনকে?
শ্রীসন্থ: কিছুই বলতে চাই না। নীরবতা কয়েক হাজার শব্দের চেয়েও বেশি দামি।
প্র: মাঝখানে আপনি যখন টিমে ছিলেন না, নিয়মিত টুইট করে যেতেন। সেই টুইটগুলো থাকত অনুপ্রেরণামূলক। সেগুলো দিয়ে আপনি কি নিজেকে নিজে চাঙ্গা করতেন যে, আমারও সময় আসবে?
শ্রীসন্থ: না, না। এ সব কিছু নয়। আমি দারুণ টুইটারপ্রেমী লোক। নিজেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমার ব্যক্তিগত জীবন থেকেই নানা রকম উদাহরণ রয়েছে। সচিন তেন্ডুলকর রয়েছে। জাহির খান রয়েছে। আমি তো তাদের দেখেই উদ্দীপ্ত হতে পারি। হয়েও থাকি।
প্র: তা হলে তাদের নিয়ে টুইট করেন না কেন?
শ্রীসন্থ: ড্রেসিংরুমের ভেতরের কথা লেখা যাবে না। তা হলে আমি আবার নির্বাসিত হয়ে যাব। |
|