|
|
|
|
নিলাম কেন্দ্রে ধৃত ১০ দুষ্কৃতী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
খড়্গপুরে রেলের স্ক্র্যাপ নিলাম-কেন্দ্র থেকে শুক্রবার সকালে ১০ দুষ্কৃতীকে ধরল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে টুনটুন চৌধুরী, রোহিনী, টিঙ্কু শঙ্কর, রামনা রাও, বি রমেশ রাও। ধৃতদের কয়েকজন একদা রেলশহরের ‘ত্রাস’ রামবাবুর লোক বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। আর কয়েকজন বাগ্গা রাওয়ের লোক। এই দু’জনের ঘনিষ্ঠরা নিলামে অংশ নিতে গিয়েছিল। আর ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মূলত কে নিলামে স্ক্র্যাপ কিনবে তা নির্ধারণ করতে। যাতে তারা ভয় দেখিয়ে বিপক্ষকে আটকাতে পারে। তা হলেই কম দামে স্ক্র্যাপ কিনে কোনও এক পক্ষ বেশি মুনাফা করতে পারবে। খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকার বলেন, “ধৃতেরা নিলামে অংশগ্রহণকারীদের ভয় দেখানোর জন্য নিলামস্থলে গিয়েছিল। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ গিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।”
রেলের স্ক্র্যাপ নিলামকে কেন্দ্র করেই উত্থান হয়েছিল এক সময়ে খড়্গপুরের ডন বাসব রামবাবুর। খড়্গপুর জুড়ে মাফিয়ারাজ চলে দীর্ঘ দিন। রামবাবুর গ্রেফতারের পরে খড়্গপুর কিছুটা শান্ত হয়েছিল। কিন্তু স্ক্র্যাপ নিলামকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে ছোটখাটো বিবাদ লেগেই থাকত। স্ক্র্যাপ নিলামে কোটি কোটি টাকা আয়ের পথ রয়েছে। কিন্তু রেল সেই টাকা পায় না। কারণ, কে নিলামে অংশ নেবে তা ঠিক করত মাফিয়ারাই। ফলে নিলামে কোনও দিনই বেশি ডাক উঠত না। সরকারি দামের থেকে সামান্য বেশি টাকায় কিনে নিয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করত ব্যবসায়ীরা। আর এই কারণেই দুষ্কৃতীদের সাহায্য নিত তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিলাম শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই বাইরে ঘোরাঘুরি করে দুষ্কৃতীরা। অনেকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও থাকে। তা দেখিয়ে নিলামে অংশগ্রহণকারীদের ভয় দেখানো হত। যে দুষ্কৃতীদের কাজে লাগাতে পারত, মুনাফা আসত তারই। সব জেনেও পুলিশ চোখ বন্ধ করে থাকে বলেই অভিযোগ। এ বার অবশ্য পুলিশ অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে যায়। নেতৃত্বে ছিলেন এসডিপিও নিজে। ১০ দুষ্কৃতী ধরাও পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ বার থেকে নিলামের সময়ে তল্লাশি চলবে। কারণ, ফের খড়্গপুর শহর জুড়ে মাফিয়ারাজের জন্ম হতে পারে বলে আশঙ্কা। রামবাবুও এখন জামিনে মুক্ত। এসডিপিও বলেন, “বেআইনি কাজ করতে দেওয়া হবে না। কেউ তা করতে চাইলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|