রিকশাই ভরসা
অটোর দাবি
পুরসভার অন্তর্গত হওয়ার পরে ২৭ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু হাওড়ার বাকসাড়া, বকুলতলা এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি। অভিযোগ, এই এলাকায় কার্যত কোনও পরিবহণ ব্যবস্থাই গড়ে ওঠেনি। এখনও রিকশাই ভরসা। তা-ও পর্যাপ্ত নয়। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা অটো চালু করার দাবি তুলেছেন।
দ্বিতীয় হুগলি সেতু চালু হওয়ার পরে এ সব এলাকায় জনসংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। কিন্তু পরিবহণ ব্যবস্থা রয়ে গিয়েছে মান্ধাতার আমলেই। রিকশাই যাতায়াতের প্রধান ভরসা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তা-ও সব সময় পাওয়া যায় না। ভাড়াও খুব বেশি। তাই অটো চালুর দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা নীলমণি দাস বলেন, “কোনও পরিবহণ ব্যবস্থা নেই। এই অঞ্চলে চার-পাঁচটি হাইস্কুল ও হাসপাতাল আছে। অথচ রিকশাতেই যাতায়াত করতে হয়। রিকশার সংখ্যাও কম। অটো চালু করার খুব দরকার।” বাসিন্দারা ‘বাকসাড়া অটো পরিষেবা প্রস্তুতি কমিটি’ তৈরি করেছেন। কমিটির পক্ষ থেকে জেলাশাসক, মেয়র, আরটিও, পুলিশ সুপার ও প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ছবি: রণজিৎ নন্দী
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রবাল সেন বলেন, “বকুলতলা থেকে সাঁতরাগাছি স্টেশন, বেতড় ও বেলেপোল পর্যন্ত কোনও যানবাহন নেই। বয়স্ক মানুষ, রোগী, ছাত্রছাত্রী, শিশু, মহিলা-সহ অসংখ্য নিত্যযাত্রীর অসুবিধা হচ্ছে। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী রঞ্জিত কুণ্ডুর কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রীর নির্দেশমতো অটো রুটের নকশাও জমা দেওয়া হয়েছে। নতুন পরিবহণমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানানো হবে।” কমিটি সূত্রে খবর, প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর কাছে দু’টি রুটের ম্যাপ জমা দেওয়া হয়েছিল। একটি রুট হল, আন্দুল রোডের বকুলতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে কেঠোপোল, সুকান্তপ্লেস, ফরিদপুর হয়ে সাঁতরাগাছি স্টেশন পর্যন্ত। অন্যটি বকুলতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে কেঠোপোল, বিমলা বেদী, বাকসাড়া হাইস্কুল ও ন্যাশনাল প্লেস হয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বেতড় মোড় পর্যন্ত।
মেয়র মমতা জয়সোয়াল বলেন, “ওঁরা দরখাস্ত করেছিলেন। এখানে পুরসভার কিছু করার নেই। আমি জেলাশাসকের কাছে সুপারিশ করেছি। দরকার হলে আবার সুপারিশ করব।” প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী রঞ্জিত কুণ্ডু বলেন, “এ বছরের প্রথম দিকে এলপিজি সরবরাহ কম থাকায় অটো রুটের পারমিট দেওয়ায় সমস্যা ছিল।” আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
জেলাশাসক সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ বলেন, “নির্বাচনের আগে ওঁরা আবেদন করেছিলেন। নির্বাচনের জন্য কিছু করা সম্ভব হয়নি। নতুন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বোর্ড মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।” পরিবহণমন্ত্রী সুব্রত বক্সি বলেন, “বিষয়টি জেলা পরিবহণ দফতরের দেখার কথা। ওখানেই আবেদন জানাতে হবে।”
Previous Story

Howrah

Next Story




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.