নির্মাণ শুরু
সংশয়ের স্ট্যান্ড
স্ট্যান্ড তৈরি শুরু হয়েছে। কিন্তু সেখানে যেতে রাজি নয় অধিকাংশ বাস ও ট্যাক্সি। অভিযোগ, নির্মীয়মাণ স্ট্যান্ডটি মূল রাস্তা থেকে দূরে হওয়ায় যাত্রী কমে যাবে। প্রশ্ন উঠেছে, হাওড়া উন্নয়ন সংস্থার (এইচআইটি) দানেশ শেখ লেনে নির্মীয়মাণ এই স্ট্যান্ড থেকে আখেরে কোনও লাভ হবে কি না?
দানেশ শেখে লেনের পুরনো বাসস্ট্যান্ডের একটি অংশে ট্যাক্সি ও রিকশা দাঁড়িয়ে থাকে। অন্য একটি অংশে মোটরসাইকেল ও সাইকেল জমা রাখা হয়। বাসচালকদের অভিযোগ, ব্যস্ত সময়ে সঙ্কীর্ণ পরিসরে বাস ঘোরাতে সমস্যা হয়। এই ছবি পাল্টাতেই উদ্যোগী হয়েছে এইচআইটি। পুরনো বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় দুশো ফুট দূরে তৈরি হচ্ছে নতুন বাস ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড।
এই স্ট্যান্ডে দানেশ শেখ লেন-ধর্মতলা রুটের প্রায় ৩০টি মিনিবাস থাকে। সিটিসি বাস থাকে ৮টি। ব্যস্ত সময়ে ৭০-৮০টি ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে থাকে। দানেশ শেখ লেন-ধর্মতলা রুটের মিনিবাস ড্রাইভার শিবশঙ্কর সাউ বললেন, “স্ট্যান্ডের সামনে দু’টি হোটেল, রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান ও ব্যাঙ্ক রয়েছে। পাশেই আন্দুল রোড। তার পাশে ট্যাক্সি ও রিকশা স্ট্যান্ড। বাস ঘোরানো ও বেরোনোর সময় সমস্যা হয়। মাঝেমধ্যেই ট্যাক্সি ও রিকশা চালকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায়।”
বাসস্ট্যান্ডের কাছেই রয়েছে দু’টি স্কুল। ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা জানান, বাসস্ট্যান্ড পেরিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। মাঝেমাঝেই যানজট তৈরি হয়। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ছবি: রণজিৎ নন্দী
৬-এ রুটের মিনিবাস সংগঠনের সহ-সভাপতি শান্তিরঞ্জন দে বলেন, “বাস স্ট্যান্ডটি এতই ছোট যে অসুবিধা হচ্ছে। নতুন বাস স্ট্যান্ড হলে সুবিধা হয়। তবে বাস স্ট্যান্ডটির দূরে তৈরি হচ্ছে।” একই মত মিনিবাস সংগঠনের সেক্রেটারি অরবিন্দ সাহার। তিনি বলেন, “এখনকার স্ট্যান্ডটি আন্দুল রোডের লাগোয়া। নতুন স্ট্যান্ডটি অনেক দূরে। ক’জন যাত্রী যাবেন সেটাই সন্দেহ।” এই বক্তব্য দানেশ শেখ লেন ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সিটু ইউনিয়নের সভাপতি আনন্দ মান্নার। তাঁর মতে, “আন্দুল রোড দিয়ে প্রচুর শাটেল ট্যাক্সি যায়। যাত্রীদের অত দূরে গিয়ে ট্যাক্সি ধরার ধৈর্য নেই।”
এইচআইটি সূত্রে খবর, দানেশ শেখ লেন বাস স্ট্যান্ডের জন্য রাজ্য পরিকল্পনা মন্ত্রক ৬১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। শুধু বাস নয়, ট্যাক্সি স্ট্যান্ডও হবে। এইচআইটি-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার শিখরেশ দত্ত বলেন, “বাসস্ট্যান্ডটি লম্বায় ৮৫ মিটার ও চওড়ায় ২৯ মিটার হবে। ১৮টি বাস এক সঙ্গে দাঁড়াতে পারবে। যাত্রী ছাউনি, টিকিট কাউন্টার, ক্যান্টিন, সুলভ শৌচাগার তৈরিরও পরিকল্পনা আছে। মৌখিক আপত্তির কথা শুনেছি। তবে লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। স্ট্যান্ডটি চালু হলে সমস্যা মিটে যাবে।”
First Page

Howrah

Next Story




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.