ডিএসপি, কনস্টেবলের পরে এ বার বিধায়কের দেহরক্ষী। মেঘালয় পুলিশের একের পর এক সদস্য আইন রক্ষার দায়িত্ব ও সরকারি চাকরির মায়া কাটিয়ে জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখাচ্ছেন। সকলেরই দাবি, পুলিশ বিভাগে বিভেদের জেরেই এমন সিদ্ধান্ত।
পরের পর এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন মেঘালয় স্বরাষ্ট্র দফতর রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এর কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মেঘালয় পুলিশের ‘বিদ্রোহী’ ডিএসপি চ্যাম্পিয়ন সাংমা এখন গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ-র সভাপতি। ‘বিদ্রোহী’ কনস্টেবল স্যাভিও মারাক এরিয়া কম্যান্ডার। এ বার এনসিপি বিধায়ক ওমিলো কে সাংমার দেহরক্ষী হাবার্ট মারাকও ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে জিএনএলএ সংগঠনে যোগ দিয়েছেন বলে অনুমান। দিন পনেরো হল খোঁজ নেই হাবার্টের। উধাও হওয়ার আগে তিনি নিয়ে গিয়েছেন তাঁর রিভলভার, কার্বাইন ও দু’টি ম্যাগাজিন। গত জানুয়ারিতে স্যাভিও মারাকও উধাও হওয়ার আগে নিয়ে যান দু’টি ইনস্যাস রাইফেল ও ৬০ রাউন্ড গুলি।
পুলিশ বাহিনী ত্যাগীরা সকলেই জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়ে একই ধরনের বিবৃতি দিচ্ছেন। যার মোদ্দা কথা: মেঘালয় পুলিশের মধ্যে স্বজনপোষণ, উপজাতিগত বিভেদের জন্য কাজের পরিবেশ নেই, মন ভেঙে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদ জানাতেই অস্ত্র হাতে পলায়ন। বারবার ‘বিদ্রোহী’দের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও, হাবার্ট-এর ঘটনার পরে কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এইচডিআর লিংডো রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। অধস্তন পুলিশকর্মীদের মধ্যে বিভেদ, বিভাজন ও স্বজনপোষণের অভিযোগ নিয়ে বিশদে তদন্ত করতে কমিটি গড়ছে রাজ্য সরকার। ডিজি প্রেম সিংহকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লিংডো বলেন, “আমার মনে হয়, অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাজ্য পুলিশে কর্মরত নানা উপজাতির কর্মীদের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টির মতলবেই এই সব রটানো হচ্ছে। তবে, তদন্তে যদি তেমন কিছু প্রমাণ হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ত্রুটি সংশোধন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, জিএনএলএ-র বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান জারি থাকছে। গারো পাহাড়ের আইন-শৃঙ্খলাও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। |