অধিকার আইন কার্যকর করছে ত্রিপুরা সরকার সংসদে পাশ হওয়া শিক্ষার অধিকার আইন কার্যকর করছে ত্রিপুরা সরকার। আর এই আইনের জেরেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথাও রদ হয়ে যাচ্ছে। অন্তত রদ হয়ে যাওয়ার কথা।
রাজ্যের স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানান, সংসদে পাশ হওয়া ওই আইন কার্যকর হয়েছে গত বছরেই। কিন্তু নানা কারণে ত্রিপুরায় এই সংক্রান্ত বিধি তৈরি করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা ওই আইন রাজ্যে বলবৎ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি, পাশ-ফেল ব্যবস্থা রদ করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের আপত্তির কথাও কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে বলে স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী জানান। তাঁর কথায়, “স্কুল স্তরে পাশ-ফেল না
থাকলে ছাত্রছাত্রীদের পড়ার আগ্রহ আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি, ছাত্র ও অভিভাবকরাও বুঝতে পারেন না, স্কুলের পড়াশোনার জেরে ঠিক কতখানি অগ্রগতি হল।
কেন্দ্রীয় আইন মেনে রাজ্যে শিক্ষাবিধি চালু হওয়ার ফলে দায়িত্ব বাড়ছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এই বিষয়ে একটি কর্মশালারও আয়োজন করেছে। স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী জানান, সরকারি স্কুলে বিভিন্ন শ্রেণিতে স্কুলছুটের সংখ্যা উদ্বগজনকই। সেটা কমানোর জন্য প্রাথমিক স্তরে পরিকাঠামোগত উন্নতির প্রয়োজন। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নীতির কথাও কেন্দ্রীয় আইনে বলা রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষক যাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন, সেটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এ রাজ্যে এই মুহূর্তে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে। যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই, তাঁদের সবাইকে প্রশিক্ষিত করতে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে কাছে আরও পাঁচ বছর সময় চেয়েছে।
পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও, সমস্ত স্কুলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকরা সময় মেনে নিয়মিত স্কুলে আসছেন কি না, ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক সময় মতো পৌঁছে দেওয়া, স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার পরিবেশ উন্নতির জন্য তদারকি বাড়ানো, স্কুলগুলো ঠিক মতো চলছে কি না, এবং সর্বোপরি লেখাপড়ার গুণগত মান বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের এই শিক্ষাবিধিতে। |