দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্যে মতভেদ দূর করতে চাইছেন সনিয়া গাঁধী। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট যখন সামনে, তখন শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মতান্তরের প্রকাশ দলের ক্ষতি করতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। এ ব্যাপারে কংগ্রেস সভানেত্রীর কড়া মনোভাবের ফল দেখা যাচ্ছে।
মাওবাদী সমস্যা থেকে বিভিন্ন বিষয়ে এত দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কড়া সমালোচনা করেছেন দিগ্বিজয় সিংহ। আজ সকালে সেই দিগ্বিজয়ই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে গিয়ে চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দিগ্বিজয় নিজেই কিছু দিন আগে জানিয়েছিলেন, প্রকাশ্যে চিদম্বরমকে ‘ইন্টেলেকচুয়ালি অ্যারোগ্যান্ট’ বলে সমালোচনা করায় সনিয়া তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এখন দিগ্বিজয় বলছেন, তিনি এবং চিদম্বরম পুরনো বন্ধু। তাঁদের মধ্যে বিবাদ সংবাদমাধ্যমের তৈরি। |
তবে আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কেউই মুখ খুলতে চাননি। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে বৈঠক করেন দিগ্বিজয়। ফলে বৈঠক নিয়ে আরও জল্পনা শুরু হয়েছে। দিগ্বিজয় অবশ্য একে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ ছাড়া আর কিছু বলতে চাননি। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে জাঠ-অধ্যুষিত এলাকায় ভোট পেতে অজিত সিংহের আরএলডি (রাষ্ট্রীয় লোকদল)-এর সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে জোটের বিনিময়ে আরএলডি কেন্দ্রে মন্ত্রিত্ব পেতে চায়। তাই অজিত বা তাঁর পুত্রকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে দিগ্বিজয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়ে থাকতে পারে। দিগ্বিজয় সিংহ যেমন উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত নেতা হিসেবে জোট নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন, তেমনই কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। রাহুলের সঙ্গে অজিত সিংহের পুত্র, সাংসদ জয়ন্ত চৌধুরীর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
আবার ভারতে গত এক দশক ধরে বসবাসকারী পাকিস্তানি গায়ক আদনান সামি নানা সমস্যায় পড়ে কংগ্রেসের দ্বারস্থ হয়েছেন। মুম্বইয়ে তাঁকে বাড়ি ছেড়ে
দিতে বলা হয়েছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা
তুলতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিষয়টি দিগ্বিজয়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় উঠে এসেছে। দলের লক্ষ্য, ওই আদনানকে নির্বিঘ্নে থাকার বন্দোবস্ত করে
দেওয়া এবং তা উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘু ভোট টানায়
কাজে লাগানো। |