রাজধানীর যন্তরমন্তরে আন্না হাজারের অনির্দিষ্টকাল অনশন কর্মসূচিতে অনুমতি দিচ্ছে না দিল্লি পুলিশ।
খসড়া লোকপাল বিল প্রত্যাহারের দাবিতে ১৬ অগস্ট থেকে অনির্দিষ্ট কাল অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্না। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লি পুলিশ কমিশনার বি কে গুপ্ত। পরে দিল্লি পুলিশের তরফে আন্না শিবিরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, কর্মসূচির জন্য তাঁদের হয় দিল্লির উপকণ্ঠে অন্য কোনও জায়গা (বুড়ারির মতো জায়গার প্রস্তাবও রয়েছে) বেছে নিতে হবে, নয়তো পুলিশকে জানাতে হবে, যন্তরমন্তরে ঠিক কখন তাঁরা অবস্থান করবেন। আন্না মাত্র এক দিনের প্রতিবাদ কমর্সূচি নিলে, তবেই যন্তরমন্তরে অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রেও দু’হাজারের বেশি লোকের জমায়েত করা যাবে না। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র রজন ভগত জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁরা চিঠির জবাবের অপেক্ষা করছেন। তবে আন্না শিবির ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা এ ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হবে।
যন্তরমন্তরে ১১৪ ধারা জারি করা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ পুড়িয়েছে দিল্লি পুলিশ। ১ অগস্ট থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হবে। তার আগে আগামিকাল থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদ ভবনের আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। অর্থাৎ সেখানে পাঁচ বা তার বেশি লোকের জমায়েত করা যাবে না। গত কাল দিল্লির অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (কনট প্লেস সাব ডিভিশন) যন্তরমন্তরেও ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরেই বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র প্রতিবাদ হয়। আন্না হাজারে বলেন, গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। সংবিধান দেশের নাগরিকদের অনেক অধিকার দিয়েছে। কোনও অন্যায়-অবিচার হলে যে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, “কংগ্রেসের এটাই স্বভাব। দেশে জরুরি অবস্থা কংগ্রেসই জারি করেছিল।” আজ এসিপি (পার্লামেন্ট স্ট্রিট) যে সব এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ দেন, তাতে যন্তরমন্তর নেই। এবং পুলিশ সূত্রে স্বীকার করা হয়, কনট প্লেস এসিপি ভুল করেছিলেন। তিনি পার্লামেন্ট স্ট্রিট সাবডিভিশন নিয়ে নির্দেশ জারি করতে পারেন না। যন্তরমন্তর ওই সাবডিভিশনেই। পুলিশ সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সংসদের অধিবেশন চলাকালীন দিল্লির কোথাও তারা অনির্দিষ্টকাল ধর্নার অনুমতি দিতে পারবেন না। পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলছেন, অধিবেশন চলাকালীন যন্তরমন্তরে অনেক সংগঠনই প্রতিবাদ জানান, তাই কোনও একটি সংগঠনকে পুরো জায়গা দখল করে রাখতে দেওয়া যাবে না। |