টানা লোডশেডিং বরাক উপত্যকার মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে পরের এক ঘণ্টা থাকছে না। দিনে ঘণ্টা সাতেক বিদ্যুৎ মিলছে। গভীর রাতেও চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি। এর ফলে পড়ুয়া, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা বিরাট সমস্যায়। মার খাচ্ছে ব্যবসাপত্র এবং এই অঞ্চলের ছোটখাটো শিল্পসংস্থাগুলি। এই হাল শিলচর শহরের। উপত্যকার ছোট শহর ও গ্রামের মানুষের অবস্থা আরও করুণ।
কেন এই অবস্থা? মধ্য অসম বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার দীপঙ্কর নাথ জানান, বরাক উপত্যকায় মোট ৮৫ থেকে ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। স্টেট লেভেল ডেসপার্স সেন্টার (এসএলডিসি) থেকে মেলে মাত্র ৪৫-৫০ মেগাওয়াট। বুধবারের হিসেব দেখিয়ে তিনি জানান, সে দিনের প্রাপ্তি ৪২ থেকে ৬৬ মেগাওয়াট। কাল মণিপুরের লোকটাক বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ত্রিপুরার রামচন্দ্রপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পে একটি করে ইউনিট বিকল হয়ে পড়ায় এর পরিমাণ আরও কমে যায়। পিক আওয়ারে মিলেছে মাত্র ৪০ মেগাওয়াট। দুই ইউনিটের বিদ্যুৎ না পাওয়ায় দু’দিন থেকে সারা রাজ্যেই জোগান কম।
এর মধ্যে আবার ১ অগস্ট থেকে মাসুল বাড়ানো হচ্ছে ইউনিট প্রতি ৬৯ পয়সা করে। এতে ক্ষুব্ধ মানুষ স্থানে স্থানে বিক্ষোভ জানাচ্ছেন। আজও ভারতীয় জনতা পার্টি ও যুব মোর্চা শিলচরে জেনারেল ম্যানেজারের অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করে। পরে জেনারেল ম্যানেজারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকপত্র পাঠানো হয়। জেনারেল ম্যানেজার দীপঙ্কর নাথের বক্তব্য, মাসুলের হার একান্তই রাজ্য পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। তাঁর কিছু করার নেই। |