শহরের একটি স্কুলের হস্টেল থেকে দুই কিশোরীর উধাও হওয়া এবং পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওই দু’জনের দেহ হরিদ্বারে উদ্ধার হয়েছে বলে আজ রাঁচি পুলিশ জেনেছে। তবে এই ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা তা পরিষ্কার নয়।
রাঁচির এসএসপি সাকেত সিংহ বলেন, “স্কুলের পরিচয়পত্র দেখে স্থানীয় পুলিশ ওই দুই ছাত্রীর পরিচয় জেনেছে।” পুলিশ জানায়, ওই দুই কিশোরী মৌসম মোদী (১৭) ও নিকিতা কুমারী (১৮) আদতে দুমকার বাসিন্দা। ২৫ জুলাই লছমনঝুলা থানা এলাকায় গঙ্গা ব্যারেজের কাছে তাদের দেহের হদিস মেলে। কিন্তু আজ বেলা ১০টা নাগাদ ফোনে রাঁচি পুলিশের কাছে এ খবর পৌঁছয়। গত ২০ জুলাই থেকে কিশোরী দু’টি নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
অভিভাবকদের উপরে অভিমান করে ওই দুই বান্ধবী রাঁচি ছেড়ে হরিদ্বারে যায় বলে পুলিশের সন্দেহ। পুলিশ জানায়, মৌসম রাঁচিতে পড়াশোনা করলেও নিকিতা বোকারোর স্কুলছাত্রী। কিন্তু মৌসমের জন্মদিনে এক সঙ্গে কাটাতে নিকিতা রাঁচি চলে আসে। বাড়িতে না-জানিয়ে রাঁচি আসায় মৌসমকে তার বাবা বকাবকি করেন বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে। পরে মৌসম ‘আমি বাঁচতে চাই না’ বলে তাঁর বাবাকে এসএমএস করেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
তবে পুলিশের আর একটি সূত্রের দাবি, দুমকায় একটি মেয়ের বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে কেউ ফোন করেছিল। দুমকার এসপি হেমন্ত টোপ্পো অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেন। মেয়ে দু’টি হরিদ্বারের হোটেলে ছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। |