|
|
|
|
নয়ছয়ের নালিশ, ধৃত বিমা-কর্তা, দুই সঙ্গীও |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ন্যাশনাল ইনসিওরেন্সের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে ওই সংস্থারই এক উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে। কলকাতায় আট বছর চাকরি করে তিনি সংস্থার দেড় কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে আদালতে অভিযোগ জানিয়েছে সিবিআই। গৌতম ধাড়া নামে সেই বিমা-কর্তাকে ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার কলকাতায় নিয়ে এসেছে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
সিবিআই অফিসারেরা বৃহস্পতি ও শুক্রবার ভুবনেশ্বরে ওই কর্তার বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালান। ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দুর্নীতি দমন শাখার এসপি সমীররঞ্জন মজুমদারের নেতৃত্বে অভিযান চলে বিমা সংস্থার দুই এজেন্ট পান্নালাল ভট্টাচার্য এবং শশাঙ্ক মলের বাড়িতেও। ওই দু’জনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পান্নালালের বাড়ি বাঁশবেড়িয়ায়। শশাঙ্কের বাড়ি চুঁচুড়ায়। পান্নালালবাু এবং শশাঙ্কবাবুকেও শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হয়।
ন্যাশনাল ইনসিওরেন্সের ডিভিশনাল ম্যানেজার হিসেবে ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় কর্মরত ছিলেন গৌতমবাবু। নিয়ম অনুসারে বিমা সংস্থার কাছ থেকে এজেন্টরা কমিশন পান। অভিযোগ, কোনও টাকা পাওনা না-থাকা সত্ত্বেও এক এজেন্টের নামে নিয়মিত কমিশনের চেক দিতেন গৌতমবাবু। পান্নালালবাবুই সেই এজেন্ট। সিবিআই সূত্রের খবর, পান্নালালবাবুকে দিয়ে গৌতমবাবু বড়বাজারে একটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন। কখনও দুই, কখনও তিন লক্ষ টাকার চেক জমা পড়ত সেই অ্যাকাউন্টে। অভিযোগ, এই ভাবে প্রায় দেড় কোটি টাকা সরিয়ে নেন গৌতমবাবু। তদন্তে জানা গিয়েছে, পান্নালালবাবুকে সামান্য ভাগ দিয়ে সেই টাকার প্রায় পুরোটাই আত্মসাৎ করেছিলেন ওই বিমা-কর্তা। চেক জমা দেওয়া এবং টাকা তোলার কাজ করার সুবাদে টাকা পেতেন শশাঙ্কবাবুও। |
|
|
|
|
|