|
|
|
|
পিটিটিআই পরীক্ষায় টোকাটুকি রোখায় মার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
টোকাটুকিতে বাধা পেয়ে স্কুলের লোকজনের উপরে চড়াও হলেন ভাবী শিক্ষকেরাই। প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে মার খেলেন শিক্ষাকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালাতে হল পুলিশকে।
শুক্রবার বর্ধমানের শিবকুমার হরিজন বিদ্যালয়ে পিটিটিআই-এর তৃতীয় ও চতুর্থ পত্রের পরীক্ষা চলছিল। বর্ধমান ছাড়াও কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম থেকে পরীক্ষার্থীরা এসেছেন। কিছু পরীক্ষার্থী টোকাটুকি শুরু করেন। শিক্ষকেরা আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁরা মারমুখী হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ। স্কুলের শিক্ষাকর্মী শৈলেন পালের মুখে ঘুষি মারা হয়। প্রধান শিক্ষক অসিত সাধু পুলিশে খবর দিলে বিশাল বাহিনী এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রনে আনে। মোট চার পরীক্ষার্থীও আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
প্রধান শিক্ষক বলেন, “টুকলি রুখতে গেলে কয়েক জন পরীক্ষার্থী আমায় লক্ষ করে ঘুষি চালান। আমায় বাঁচাতে গিয়েই শৈলেনবাবু আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে মৃদু লাঠি চালিয়ে অবস্থা আয়ত্তে আনে।” পরীক্ষার্থী অর্চনা কাপাট, অলোক মণ্ডল, রঞ্জিতা সরকারদের পাল্টা অভিযোগ, “টুকলি খোঁজার নাম করে মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ
করা হচ্ছিল। পুলিশের হাত থেকে লাঠি নিয়ে শিক্ষকেরাই আমাদের বেদম পেটান। চার ছাত্র আহত হয়েছেন। এক জন বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি।” পরীক্ষার্থী মহম্মদ আজিমুদ্দিন, শিপ্রা ঘোষের অভিযোগ, “৫২ জনের সই করা অভিযোগপত্র দিতে গেলে থানা তা নেয়নি। উল্টে দুর্ব্যবহার করা হয়।” বর্ধমান থানার আইসি ভবদেব চক্রবর্তী অবশ্য তা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “পরীক্ষার্থীরাই উল্টে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, গিয়েছেন, তাঁরা টুকলি করছিলেন। শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্য তাঁরা দুঃখিত।” জেলা স্কুলসমূহের পরিদর্শক (প্রাথমিক) দিলীপকুমার মণ্ডল বলেন, “সোমবার ফের পরীক্ষা রয়েছে। সে দিন যদি পরীক্ষার্থীরা টোকাটুকির চেষ্টা করেন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরীক্ষাই বাতিল করে দেব।” |
|
|
|
|
|