|
|
|
|
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল জয় বাম শিক্ষকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন প্রার্থীই দিতে পারছে না সিপিএম তথা বামেরা, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বুটা) নির্বাচনে তারা ১৭-৪ ব্যবধানে জিতল।
দীর্ঘ চার দশকের মধ্যে এই প্রথম বুটা-র নির্বাচন হল। বৃহস্পতিবার সকালে ভোটগ্রহণের পরে গভীর রাতেই ফল প্রকাশিত হয়। দেখা যায়, বামপন্থীদের ‘শিক্ষা গণতন্ত্রীকরণ সংস্থা’ বিপুল ভাবে জিতেছে। তবে অন্য বারের মতো বাম প্রার্থী ও সমর্থকেরা জয়োল্লাস প্রকাশ করেননি। নীরবেই তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের বাংলা বিভাগ ছেড়ে চলে যান। শুক্রবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় উৎসব করা হয়নি।
এ বারে চেয়ারম্যানের তিনটি আসনের মধ্যে দু’টিতে বামপন্থীরা এবং একটিতে জাতীয়তাবাদী জোটপ্রার্থী জয়লাভ করেছেন। কোষাধ্যক্ষ এবং দু’টি সম্পাদক পদেও বামপন্থীরা জিতেছেন। বুটা-র কর্মসমিতির ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টিতে বামপন্থীরা ও তিনটিতে জাতীয়তাবাদীরা জেতেন। বুটা-র বিদায়ী সম্পাদক পার্থ মিত্র বলেন, “গণতন্ত্রের জয় হল। আমাদের সাংগঠনিক শক্তি অনেক বেশি। তবে জাতীয়তাবাদী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা কাজ চালাব।” জাতীয়তাবাদীদের হয়ে চেয়ারম্যান আসনে জয়ী মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “গত ২০-২৫ বছরে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যত শিক্ষক নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের একটাই যোগ্যতা ছিল, তাঁরা সিপিএম করেন। সেই শিক্ষকদেরই ভোটে আমরা অন্তত চারটি আসনে জিতেছি, এটা বড় সাফল্য।’’
গত ২ জুলাই আধিকারিক পর্যায়ের নির্বাচনে অবশ্য বামপন্থীরা প্রার্থী দিতে পারেননি। বর্ধমান ইউনির্ভাসিটি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বুয়া) প্রাক্তন সভাপতি দেবকুমার পাঁজা বলেন, “আধিকারিক সমিতির মোট ১২টি আসনের মধ্যে কোনওটিতেই আমরা প্রার্থী দিতে পারিনি। তৃণমূল তথা জাতীয়বাদীরা ছ’টিতে প্রার্থী দিয়েছে। তাই ছ’টি আসনে নির্বাচন হবে।” |
|
|
|
|
|