|
|
|
|
বাড়তি টাকার জন্য বিডিও-কে ‘চড়’, গ্রেফতার ঠিকাদার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কেতুগ্রাম |
বিডিওকে মারধর করার অভিযোগে এক ঠিকাদারকে গ্রেফতার করল কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। মলয় মুখোপাধ্যায় নামে ওই ঠিকাদারের বাড়ি কাটোয়া শহরে। শুক্রবার দুপুরে কেতুগ্রাম ২ ব্লক অফিসে ঘটনাটি ঘটে। কেতুগ্রামের আইসি রঞ্জন সিংহ বলেন, “বিডিওকে চড়-থাপ্পর মারার জন্য ওই ঠিকাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মলয়বাবু সম্প্রতি ওই ব্লকের মৌগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে চরসুজাপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির বরাত পেয়েছিলেন। কিছুটা কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে কাজটি নিয়ে আপত্তি তোলেন গ্রামবাসীরা। সেই অবস্থায় কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু যতটা কাজ হয়েছিল, তার জন্য মলয়বাবু ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন। ব্লকের বাস্তুকার বিভাগ এর পরে মাপজোক করে জানায়, ওই কাজের জন্য মলয়বাবু ২৬,৩০০ টাকা পেতে পারেন।
এ দিন, নিজের ঘরে বসে কাজ করছিলেন বিডিও হেমন্ত ঘোষ। আচমকাই তাঁর ব্যক্তিগত ঘরে ঢুকে পড়েন মলয়বাবু। ঘরে ঢুকেই তাঁর হুমকি, ‘১০ দিনের মধ্যে ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে।’ কিন্তু তাঁকে ওই টাকা দেওয়া যাবে না জানাতেই, বিডিও-র পথ আটকে তিনি চড়-থাপ্পর মারেন বলে অভিযোগ। বিডিও-র কথায়, “আমি ওঁকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলতেই আমার উপরে চড়াও হন মলয়বাবু।” গোলমালের আওয়াজ পেয়ে দফতরের কর্মীরা দ্রুত এসে মলয়বাবুকে ধরে ফেলেন। তাঁকে ওই ঘরেই আটকে রাখা হয়। ঘটনাস্থলে যায় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। বিডিও লিখিত অভিযোগ করার পরেই ঠিকাদার মলয় মুখোপাধ্যায়কে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ধৃত ঠিকাদারের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, “ওই বিডিও-র সঙ্গে অন্য এক ঠিকাদারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সে কথা আমি ফাঁস করে দিই। তার জন্য বিডিও আমাকে মারল। অথচ, উল্টে আবার আমাকেই ফাঁসিয়ে দেওয়া হল।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের বাস্তুকারদের মাপজোক নিয়ে আপত্তি ছিল ওই ঠিকাদারের। তাই ঠিক হয়, জেলা পরিষদের বাস্তুকার দিয়ে ফের ওই কাজের মাপজোক করানো হবে। কিন্তু তার আগেই এই বিপত্তি।
পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ। বিপিএল তালিকায় প্রকৃত আবেদনকারীদের নাম নথিভুক্ত করার দাবিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রানিগঞ্জের তিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে গ্রাম প্রধানকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘেরাওয়ের প্রায় ২ ঘণ্টা পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে প্রধান গীতা নুনিয়াকে ছেড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। রানিগঞ্জের বিডিও সুবোধ ঘোষ জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ওি তালিকা তৈরি হয়েছে। তিনি একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে রিপোর্ট তৈরির চেষ্টা করবেন বলে জানান। |
|
|
|
|
|