|
|
|
|
কয়লা চুরি বন্ধ হয়নি, হিসেব পুলিশকর্তারই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
কথা ছিল, বিধানসভা নির্বাচনের পরে আসানসোল-রানিগঞ্জ খনি এলাকায় অবৈধ কয়লার কারবার বন্ধ করবে প্রশাসন। কিন্তু কথায় ও কাজে মিল খুঁজে পাচ্ছেন না শিল্পাঞ্চলবাসী। বাস্তব চিত্র হল, এখনও রমরমিয়ে চলছে অবৈধ কয়লার কারবার। |
|
নির্বাচনের আগে আসানসোলে প্রচারে এসে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ক্ষমতায় এলে তাঁর সরকার কয়লার চোরাকারবার রোধ করবে। কিন্তু গত তিন মাসে তা হয়নি। রাজনৈতিক দল ও পুলিশের মদতেই মাফিয়ারা অবাধে কারবার চালায় বলে শিল্পাঞ্চলবাসারী দীর্ঘদিনের অভিযোগ। তবে পুলিশ আপাতত ‘সদিচ্ছা’ ও ‘তৎপরতা’ প্রমাণে মরিয়া। শুক্রবার বর্ধমানের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, অবৈধ কয়লার কারবার গত তিন মাসে অনেক কমেছে। মে, জুন ও জুলাইয়ে ‘বিশেষ অভিযান’ চালিয়ে অবৈধ কয়লা বোঝাই ৭৫ টি লরি আটক করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১,৬৪৩ টন চোরাই কয়লা। কয়লাচোরদের বিরুদ্ধে ১০৮টি নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দাগি মাফিয়া-সহ ২৫৫ জন কয়লাচোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের আক্ষেপ, “কয়লা মাফিয়াদের বেশি দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা যায় না। কিছু দিনের মধ্যেই এরা ছাড়া পেয়ে যায়।” কিন্তু এই হিসেবেই পরিষ্কার, কয়লার চোরাকারবার আদৌ বন্ধ হয়নি।
পাশাপাশি, অন্য কিছু অপরাধেরও কিনারা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার। গত ৩১ মে সালানপুরের দেন্দুয়া মোড়ে এক বহুজাতিক সংস্থার ম্যানেজারের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা ছিনতাই করেছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সুপার জানন, ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা যে মোটরবাইকে চেপে এসেছিল, সেগুলিও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের নাম ধ্রুবাদল ভট্টাচার্য ওরফে বাবন, ধরমবীর পোদ্দার ও প্রদীপ পাল। সবাই সালানপুরের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে দু’টি রিভলবার ও এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে। কুলটি থানার পুলিশ চিনাকুড়ি থেকে এক মোটরবাইক চোরকেও গ্রেফতার করেছে। নাম রহিম খান ওরফে ছোটু। ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থেকে ক্যাসিয়া নামে তার এক সঙ্গীকেও ধরা হয়েছে। ধৃতদের কাছে আসানসোল মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চুরি যাওয়া পাঁচটি মোটরবাইক পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সুপারের দাবি, গত ১৯ জুন আসানসোলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুঠের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতী দলকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তারা যে দু’টি মোটরবাইক চেপে পালিয়েছিল, তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দলটির খোঁজে বিহারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। |
|
|
|
|
|